২৯ নভেম্বর, ২০১৫ ১৮:১৯

সাগরের তলে ক্লিওপেট্রার ঘুমন্ত প্রাসাদ

অনলাইন ডেস্ক

সাগরের তলে ক্লিওপেট্রার ঘুমন্ত প্রাসাদ

রূপের রানি বলা হয় প্রাচীন মিশরের রানী ক্লিওপেট্রাকে। শতাব্দীর পর শতাব্দী সৌন্দর্য পুজারিদের অন্যতম উপাসনা তিনি। তার সৌন্দর্যের মায়াজালে আটকা পড়েছেন অনেক বাঘা বাঘা মানুষ। বাবা চতুর্দশ টলেমি অলেটেসের সঙ্গে দ্বৈতভাবে মিশর শাসন করতেন  ক্লিওপেট্রা। বাবার মৃত্যুর পর দুই ভাই ত্রয়োদশ টলেমি ও চতুর্দশ টলেমির সঙ্গে রাজ্য শাসন করেছেন। সেই ক্লিওপেট্রার প্রাসাদ এবং সাম্রাজ্যের বড় অংশ এখন ঘুমিয়ে আছে ভূমধ্যসাগরের নিচে।

ঐতিহাসিকদের মতে‚ বিষাক্ত ইজিপশিয়ান কোবরার ছোবল খেয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন ক্লিওপেট্রা। খ্রিস্টপূর্ব ৩৩২ অব্দে মিশর জয়ের স্মারক হিসেবে এক বন্দর নগরী পত্তন করেন গ্রিক বীর আলেকাজান্দার। নগরের নাম রাখা হয় আলেকজান্দ্রিয়া। এরপর থেকে মিশর শাসন করে গ্রিসের টলেমাইক বংশ। এই বংশের কন্যা ছিলেন ক্লিওপেট্রা।

বলা হয়ে থাকে খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতকে এক ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প এবং সুনামি ক্লিওপেট্রার প্রাসাদসহ গোটা দ্বীপকে গ্রাস করে নিয়েছে ভূ-মধ্যসাগর। তলিয়ে যায় প্রাচীন বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের মধ্যে একটি আলেকজান্দ্রিয়ার বিখ্যাত লাইটহাউজও। আলেকজান্দ্রিয়া শহরের উপকূলেই ছিল এই দ্বীপ।

গত শতকে নয়ের দশকের শেষ দিকে ভূমধ্যসাগরের গভীরে পাওয়া গেল ক্লিওপেট্রার প্রাসাদের অস্তিত্ব। কার্বন পরীক্ষা করে বলা হয়‚ এই প্রাসাদ তৈরি হয়েছিল রানির জন্মেরও ৩০০ বছর আগে। দেখা গেল পানির তলায় ঘুমন্ত এক প্রাচীন নগরী। রয়েছে উদ্যান‚ লাল রঙের মিশরীয় গ্র্যানাইটে তৈরি দেবী আইসিসের মূর্তি‚ ক্লিওপেত্রার পরিবারের সদস্যদের মূর্তি‚ প্রচুর অলঙ্কার‚ বাসনপত্র এবং স্ফিংক্সের দুটি মূর্তি।

সাগরের নিচে প্রায় ১৪০০ বছরের বালি আর কাদায় মাখামাখি হয়ে আছে ইতিহাসের অমূল্য এই দলিল। বেশ কিছু নিদর্শন তুলে আনা হলেও প্রতিকূলতার কারণে অনেকটুকুই রয়ে গেছে পানির নিচে। রোমান বাহিনীর কাছে ধরা দেবেন না বলে আত্মহ্ত্যা করেছিলেন রানি ক্লিওপেট্রা। তার স্মৃতিময় ইতিহাসও বোধহয় পুরোটা ধরা দিতে চায় না মানুষের কাছে। 

 

বিডি-প্রতিদিন/ ২৯ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা
 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর