২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০৯:১৭

জিনে পরিবর্তন ঘটিয়ে পছন্দমতো বংশধর!

অনলাইন ডেস্ক

জিনে পরিবর্তন ঘটিয়ে পছন্দমতো বংশধর!

বিভিন্ন ফসল, প্রাণীর জিনের ওপর মাতুব্বরি শুরু হয়েছে অনেক আগেই। বাজারে এসেছে জেনেটিক্যালি মডিফায়েড (জিএম) নানা খাদ্য। জিনে পরিবর্তন ঘটিয়ে এখন এক-দেড় মণ ওজনের মিষ্টি কুমড়ো পর্যন্ত উৎপাদন হচ্ছে। পোকার আক্রমন থেকে রক্ষা করতে ফসলের জিনে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এমনকি ফসলে প্রয়োজন অনুযায়ী ভিটামিন-মিনারেল যোগ করা হচ্ছে। এবার মানব জিনে হাত দিতে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। যাকে তারা বলছেন, 'জিন এডিটিং'। আর এ প্রক্রিয়ায় সফল হলে একসময় হয়তো জন্ম দেওয়া সম্ভব হবে পছন্দমতো মানবশিশু।

সম্প্রতি 'জেনেটিক্যালি মডিফায়েড' (জিএম) মনুষ্যভ্রূণ নিয়ে গবেষণা চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে ব্রিটেনের বিজ্ঞানীদের। ফলে ব্রিটেনে ভ্রূণের জিন এডিটিং সংক্রান্ত গবেষণায় আর কোনও বাধা রইল না।

জানা গেছে, লন্ডনের ফ্রান্সিস ক্রিক ইনস্টিটিউটে চলবে এই গবেষণা। উদ্দেশ্য, মানুষের জীবনের নানা পর্যায়কে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ। জিন এডিটিং করার সরকারি অনুমতি মিললেও, সেই পরিবর্তিত জিন থেকে তৈরি ভ্রূণ কোনও মহিলার গর্ভে প্রতিস্থাপন করা যাবে না। তা অবৈধ বলেই গণ্য হবে।

ড. ক্যাথি নিয়াকান নামে যে বিজ্ঞানী ভ্রূণের জিন কাঠামো নিয়ে গবেষণার অনুমতির আবেদন করেন, তিনি বলেন, "একটি সুস্থ বাচ্চা জন্ম দেওয়ার জন্য ভ্রূণের ভেতর কোন্‌ কোন্‌ জিন প্রয়োজন তা বোঝা অত্যন্ত জরুরী।"

তিনি বলেন, কেন কোনা নারী বন্ধ্যা হয়, কেন তার বারবার গর্ভপাত হয়, সে সম্পর্কেও বিজ্ঞানীদের এখনও স্পষ্ট ধারনা নেই।

সরকারের এই অনুমোদনের পর এখন কয়েক মাসের মধ্যে ভ্রূণ নিয়ে ব্রিটেনে নিরীক্ষা শুরু হবে।

এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড সারাহ চ্যান বলছেন, ভ্রূণের জিন পরিবর্তনের সাথে অত্যন্ত স্পর্শকাতর নৈতিকতার প্রশ্ন জড়িত। তিনি চান, নিরীক্ষা শুরুর আগে এই দিকটি যেন বিবেচনা করা হয়।

তবে, ব্রিটেনই কিন্তু প্রথম নয়। গতবছর প্রথমবারের মত চীনের বিজ্ঞানীরা দাবি করেন তারা মানব ভ্রূণের একটি জিন বদল করে জন্মগত রক্তের সমস্যা দূর করেছেন।

বিডি-প্রতিদিন/০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর