স্বামীর অনুপস্থিতিতে নিয়মিত শালীর (স্ত্রীর বোন) শ্লীলতাহানি করতেন দুলাভাই। একদিন ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে। সুযোগ বুঝে এক কোপে আলাদা করে ফেলেন দুলাভাইয়ের গোপনাঙ্গ। এরপর বিচ্ছিন্ন অঙ্গটি হাতে নিয়েই থানায় হাজির হন বছর বত্রিশের ওই নারী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলার চুরহাটে।
ভগ্নিপতির আশ্রয়ে বছর বত্রিশের স্ত্রী ও সন্তানদের রেখে নাসিকে কাজে গিয়েছিলেন এক শ্রমিক। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ওই নারীকে জোরপূর্বক একাধিক বার ধর্ষণ করে আশ্রয়দাতা। অবশেষে এক রাতে যৌনমিলনের উদ্দেশে দুলাভাই ফের ঘরে ঢুকলে কাস্তে দিয়ে তার যৌনাঙ্গে কোপ বসিয়ে দেন নিগৃহীতা। আলাদা করে ফেলেন শরীর থেকে। এরপর সেই কাটা যৌনাঙ্গ হাতে তিন সন্তানকে নিয়ে উপস্থিত হন স্থানীয় থানায়।
ওই অবস্থায় এক নারীকে থানায় ঢুকতে দেখে চমকে ওঠেন পুলিশকর্মীরা। নিজের অপরাধ স্বীকার করে গৃহবধূ জানান, আত্মরক্ষার তাগিদেই ধর্ষকের গোপনাঙ্গে আঘাত হেনেছেন। মারাত্মক জখম ব্যক্তিকে সাহায্য করতে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশের মেডিকেল টিম। কিন্তু ততক্ষণে অপমান সহ্য করতে না পেরে বাড়ির কাছে এক গাছের ডালে গলায় ফাঁস দেয় সেই ভগ্নিপতি। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।সিধি'র এসপি আবিদ খান জানিয়েছেন, হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ওই নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, 'এমন ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না। সঠিক চার্জশিট তৈরি করতে বিস্তারিত তদন্ত প্রয়োজন।'
এদিকে দুষ্কৃতীর মৃত্যুতে নির্লিপ্ত রয়েছেন ওই নারী। ঘটনার জেরে তাঁর মনে কোনও অনুশোচনা নেই। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল।
বিডি-প্রতিদিন/১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ
