২৫ জুলাই, ২০১৬ ১১:৩৫

এমএইচ ৩৭০ বিমান বিপর্যয়ের জন্য পাইলটই 'দায়ী'!

অনলাইন ডেস্ক

এমএইচ ৩৭০ বিমান বিপর্যয়ের জন্য পাইলটই 'দায়ী'!

২০১৪ সালে মাঝ আকাশে গায়েব হয়ে গিয়েছিল মালয়েশীয় এয়ারলাইনসের এম এইচ ৩৭০ বিমান। তারপর সেটির অার কোনো খোঁজ মেলেনি। সম্প্রতি মালয়েশীয় এয়ারলাইনসের সেই বিমান নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এলো। এম এইচ ৩৭০ বিমানের রহস্য-অন্তর্ধানের কারণ হিসেবে শেষ পর্যন্ত সামনে এল বিমান-চালকের অন্তর্ঘাতের ‘থিওরি’। খবর সংবাদ প্রতিদিনের। 

নিউইয়র্ক ম্যাগাজিনের দাবি, ২০১৪ সালের ৮ মার্চ যে পথে বিমানটি অদৃশ্য হয়, তার একমাসেরও কম সময় আগে বিমান-চালক ক্যাপ্টেন জাহারি আহমেদ শাহ নিজের বাড়িতে রাখা ‘হোম ফ্লাইট সিমুলেটর’ যন্ত্রে একই রুট নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ছিলেন। অর্থাৎ 'বিমান চলাচলের সেই রুট তার আগে থেকেই জানা ও চেনা ছিল। ফলে এ কথা দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট, যে কোনও অজানা যাত্রাপথে হঠাৎ করে গিয়ে ‘ভ্যানিশ’ হয়ে যায়নি এম এইচ ৩৭০ ফ্লাইটটি। বরং পরিকল্পিতভাবেই ঘটানো হয়েছিল ওই দুর্ঘটনা। এই তথ্য সামনে আসাতে তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি আত্মঘাতী হওয়ার পাশাপাশি গণহত্যা ঘটানোর জন্যই এই ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ৫২ বছরের জাহারি? কিন্তু কেন? কোন উদ্দেশ্যে? উত্তর সন্ধানে সন্দিহান গোটা বিশ্ব।

২৩৯ জন আরোহীসহ এম এইচ ৩৭০-এর মাঝ আকাশে উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় যে তদন্ত মালয়েশীয় পুলিশ করেছিল, ৫৮৪ পৃষ্ঠার সেই গোপন রিপোর্টের কিছু অংশ সম্প্রতি ম্যাগাজিনটির হাতে এসেছে। তাতেই উল্লেখ রয়েছে ক্যাপ্টেন জাহারির এই কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে। এই ছ’টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ওই রিপোর্ট থেকে ‘ডিলিট’ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জাহারির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তার ফ্লাইট সিমুলেটরের হার্ড ড্রাইভটি উদ্ধার করে তদন্ত চালানো হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই এই তথ্য যথাক্রমে এফবিআই ও ম্যাগাজিনের হাতে এসেছে। জাহারির ফ্লাইট সিমুলেটরের হার্ড ড্রাইভে যে অজস্র বিমান পথের সন্ধান মিলেছে, তারই একটির সঙ্গে এম এইচ ৩৭০-এর নিখোঁজ হওয়ার পথ হুবহু মিলে গেছে। 

তদন্ত-রিপোর্টের একটি স্থানে মালয়েশীয় পুলিশ লিখেছে, “অনেক বিমান পথের মধ্যে আমরা একটা অন্যতম রুট খুঁজে পেয়েছি। এটা ভারত মহাসাগরের দক্ষিণ অংশের দিকে যাচ্ছে। ঠিক ওই রুটেই এম এইচ ৩৭০ উধাও হয়ে যায়।” তবে দু’টি রুট এক হলেও প্রথম পথটি শেষ পর্যন্ত যেখানে গিয়ে শেষ হয়েছে, সেই স্থানটি শেষেরটির থেকে অন্তত ৯০০ মাইল দূরে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।

কিন্তু কেন এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিলেন জাহিরি? এ বিষয়ে সম্ভাব্য কারণগুলো হলো: জাহিরি মালয়েশীয় সরকারের বিরোধী পক্ষের সমর্থক ছিলেন। এমনকি, এম এইচ ৩৭০ নিখোঁজ হওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে এক সরকার-বিরোধী নেতা আনোয়ার ইব্রাহিমের কারাবন্দি হওয়ার খবর পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। প্রতিশোধ নিতেই বিমান ভুলপথে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। আরেকটি সম্ভাব্য কারণ হলো, নানা ব্যক্তিগত সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন ক্যাপ্টেন জাহিরি। তারই স্থায়ী ‘সমাধান’ খুঁজতে ২৩৯ জন আরোহীকে নিয়ে পরিকল্পনামাফিক আত্মঘাতী হন তিনি। তবে এসব মানতে নারাজ জাহিরির পরিবার। 

 

বিডি-প্রতিদিন/ ২৫ জুলাই, ২০১৬/ আফরোজ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর