২৯ আগস্ট, ২০১৬ ১২:১৯

প্রেমিককে দিয়ে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা!

অনলাইন ডেস্ক

প্রেমিককে দিয়ে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা!

ছবি: ভিক্টোরিয়া মার্টেনস (বামে) ও তার খুনিরা (ডানে)

প্রেমিককে দিয়ে নিজের ১০ বছর বয়সী কন্যাকে ধর্ষণ করিয়েছে নিউ ম্যাক্সিকোর মিশেল মার্টেনস। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের পর শিশুটিকে ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যার পর বাথটাবে নিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। মেয়েটির নাম ভিক্টোরিয়া মার্টেনস। শিশুটির দশম জন্মবার্ষিকীতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে মিশেল ও তার প্রেমিককে আটক করেছে পুলিশ।

জানা যায়, নিউ মেক্সিকোর এরোয়া ভিলাস অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে মেয়েকে নিয়ে বাস করতেন মিশেল মার্টেনস। প্রায় এক মাস আগে ফাবিয়ান গঞ্জালেসের সঙ্গে মিশেলের প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। সেই সূত্র ধরে মাঝে মাঝেই ভিক্টোরিয়াদের বাড়ি যেতেন ফাবিয়ান গঞ্জালেস।

গত ২৪ আগস্ট ভিক্টোরিয়ার দশম জন্মবার্ষিকীতে তাদের বাড়িতে যান ফাবিয়ান গঞ্জালেস ও তার কাজিন জেসিকা কেলি। তারা সবাই মিলে প্রথমে ভিক্টোরিয়াকে যৌন উত্তেজক ওষুধ খাওয়ান। পরে তাকে ধর্ষণ করে গঞ্জালেস। এরপর ধারালো ছুরি দিয়ে শিশুটিকে ক্ষতবিক্ষত করে হত্যা করা হয়। 

শুধু এতেই থেমে থাকেনি নিষ্ঠুর মা ও তার প্রেমিক। বাথটাবে ভিক্টোরিয়ার নিথর দেহ আগুনে পুড়িয়ে দেন তারা। প্রতিবেশীরা বাইরে থেকে অস্বাভাবিক ধোঁয়া দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মিশেল মার্টেনস, প্রেমিক ফাবিয়ান গঞ্জালেস ও জেসিকা কেলিকে আটক করে।

পুলিশ সূত্র জানায়, ফাবিয়ান গঞ্জালেস একজন দাগি আসামি। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের অসংখ্য মামলা রয়েছে। এ ঘটনার চার দিন আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি । তার কাজিন জেসিকা কেলিও একজন দাগি আসামি। সেও অনেক মামলার আসামি। তবে ভিক্টোরিয়ার মা মিশেল মার্টেনসের বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না।

ফাবিয়ান গঞ্জালেস ও জেসিকা কেলি বর্তমানে হাসপাতালে রয়েছে। কারণ পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জানালা দিয়ে পালাতে গিয়ে আহত হয়েছিলেন তারা। পরে  চিকিৎসার জন্য তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মিশেল মার্টেনস পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।

ময়নাতদন্তে ভিক্টোরিয়ার নির্মম মৃত্যুর বর্ণনা পাওয়া গেছে। তার মা মিশেল মার্টেনস দাবি এ হত্যার সঙ্গে সে জড়িত নয়। ফাবিয়ান ও কেলি ভিক্টোরিয়াকে ধর্ষণের পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে। যদিও তার এ দাবি আমলে নেয়নি পুলিশ।

সেখানকার পুলিশ প্রধান গরডেন ইডেন বলেন, ‘এরকম জঘন্য অপরাধ আমি আমার পেশাজীবনে আগে কখনো দেখিনি। এটি খুবই নির্মম একটি কাজ যা কোনো মায়ের কাছে থেকে আশা করা যায় না। আমাদের সমাজ খুবই নিচের দিকে যাচ্ছে। এ পতন থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।’


বিডি প্রতিদিন/২৯ আগস্ট ২০১৬/হিমেল-১৪

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর