শিরোনাম
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০৯:১১

কলকাতার 'বডি ম্যাসাজ পার্লার' সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য!

অনলাইন ডেস্ক

কলকাতার 'বডি ম্যাসাজ পার্লার' সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য!

অনেকেই বডি ম্যাসাজ করাতে পছন্দ করেন। দেশের বাইরে ঘুরতে গেলে আপনি হয়তও চাইবেন বডি ম্যাসাজ করে নিতে। বাংলাদেশ থেকে প্রায় প্রতিদিন ই বহু সংখ্যক মানুষ কোন না কারণে ভারতে যাচ্ছে। কেউ ঘুরতে , কেউ চিকিৎসার জন্য, আবার কেউ বা ব্যাবসার কাজে। বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে যায় তাদের অধিকাংশই ভারতে প্রবেশ করে কলকাতা হয়ে। তাই যারা বডি ম্যাসাজে আগ্রহী থাকে তারা চায় কলকাতা থেকেই বডি ম্যাসাজটা সেরে ফেলতে। পরে আবার সময় হয় কি না হয়। কিন্তু অনেকেই হয়ত জানেন না কলকাতার বডি ম্যাসাজ পার্লারে ঠিক কী হয়। আর অজানা বিষয়ের প্রতি অনেক কৌতূহল সকলের। কিন্তু সত্যি কী হয়, কেমন তার পরিবেশ তা সহজে জানা যায় না। একটা রহস্যের বেড়াজালে ঢাকা থাকে পুরো ব্যাপারটাই।

১. প্রথমেই বলে রাখা যাক, গোদা শ্রেণি বিভাজনে ম্যাসাজ পার্লারের কিন্তু দু’টি ভাগ রয়েছে। প্রথম ধরনের ম্যাসাজটি হয় নামজাদা বিলাসবহুল স্পা-গুলিতে। দ্বিতীয় ধরনের ম্যাসাজ করা হয় সেইসব পার্লারে যাদের ওই ‘হাই প্রোফাইল’ মার্কা বিজ্ঞাপন আপনি সংবাদপত্রের পাতায় দেখতে পাবেন। দু’টি ধরনের ম্যাসাজের মধ্যে পার্থক্যটি অতি সূক্ষ্ম।ক্ষেত্রবিশেষে সেই পার্থক্য মুছেও যেতে পারে। তবে কখন কীভাবে সেই পার্থক্য মুছবে তা কিন্তু বোঝা মুশকিল।

২. কলকাতার  নানা জায়গায় এবং কলকাতার আশেপাশে ছড়িয়ে রয়েছে এইসব পার্লার। কাগজে যে ফোন নম্বরগুলো দেওয়া থাকে, কৌতূহলী হয়ে তাতে ফোন করে বিশেষ লাভ পাবেন বলে মনে হয়না। কারণ যিনি ফোন ধরবেন (অধিকাংশ সময়েই পুরুষ) তিনি কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ব্যতীত কিছুই ভেঙে বলবেন না।

৩. বিজ্ঞাপনে প্রদত্ত নম্বরে ফোন করে আপনি যদি ম্যাসাজ পার্লারে যাবার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং ভাবেন যে, সেই ছুতোয় পার্লারটির ঠিকানা জেনে ফেলবেন তাহলে বিশেষ সুবিধা হবে না। কারণ যিনি ফোন ধরবেন, তিনি একটি ল্যান্ডমার্কের সন্ধান দেবেন মাত্র। বলা হবে, সেখানে আপনি এলে পার্লারের প্রতিনিধি গিয়ে আপনাকে আসল জায়গায় নিয়ে আসবেন।
  
৪. ‘হাই প্রোফাইল’এর ধারণা পাঠকমনে কেমন আছে তা জানা নেই, তবে একথা সত্য যে, অনেক উঠতি মডেল বা টিভি-ফিল্মে কাজ না পাওয়া অভিনেত্রীর দেখা এখানে মিলবে।

৫. যেসব মহিলারা এখানে ম্যাসিওর হিসেবে কাজ করেন তাদের সকলেই যে দালালের খপ্পরে পড়ে এখানে আসেন তা নয়। অনেকেই আছেন যিনি স্বেচ্ছায় এই পেশায় যোগদান করেছেন।
 
৬. পার্লারে ‘ম্যাসাজে’র কাজটি কতটা বিস্তৃত হবে, শরীরের কোন অংশে ম্যাসাজের কাজটি কেন্দ্রীভূত হবে বা ম্যাসিওর তার হাত ছাড়া আর অন্য কোনও অংশ ম্যাসাজের কাজে ব্যবহার করবেন কি না, সেটা নির্ভর করছে ম্যাসাজের গ্রাহকের চাহিদার ওপর।

৭. একথা জেনে আনন্দিত বা বিস্মিত হতে পারেন যে, এইসব পার্লারের ম্যাসিওররা যে বাধ্যতামূলকভাবে মহিলাই হবেন এমন কোনও কথা নেই। পুরুষ ম্যাসিওরও হবার সম্ভাবনা আছে কিন্তু।

৮. কাগজে বিজ্ঞাপন ছাড়াও আরও নানা উপায়ে ক্রেতাদের আকর্ষণ করা হয়ে থাকে। ইন্টারনেট, পানশালায় কর্মরত বয়-বেয়ারা নানা উপায়ে আগ্রহীরা পৌঁছে যেতে পারেন ম্যাসাজ পার্লারের দ্বারপ্রান্তে।

৯. পার্লারগুলির কর্মীরা সাধারণত পেশাদারি মনোভাবের হন। নির্দিষ্ট শ্রমের বিনিময়ে নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক নেওয়ার নীতিতে সাধারণত তারা বিশ্বাসী হন।

১০. এবার লাখ টাকার প্রশ্নটি। ঠিক কী অথবা কী কী হয় এইসব পার্লারের ভিতরে? সেই প্রশ্নের উত্তর কী এত সহজে পাবেন ভেবেছেন‌? কিছু প্রশ্ন উত্তর না খুজে না হয় সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করুণ, না হয় কল্পনার রাজ্যে ঘুরে বেড়ানোই ভাল নয় কি?

বিডি-প্রতিদিন/২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/তাফসীর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর