২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০২:৩৮

অন্যের প্রেমিকাকে কেন চিঠি লেখেন এঁরা?

অনলাইন ডেস্ক

অন্যের প্রেমিকাকে কেন চিঠি লেখেন এঁরা?

নিজের একাধিক প্রেমিকা নেই, তবুও দিনে প্রায় গোটা দশেক প্রেমপত্র লেখেন অঙ্কিত অনুভব। প্রেমপত্র লেখাই এখনই তার পেশা। আর তিনি এই প্রেমপত্রগুলো লেখেন অন্যের প্রেমিকার জন্য। অনুভব এই প্রেমপত্র লেখাকে রীতিমতো কর্পোরেট বাণিজ্যের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন। তাঁর সংস্থা ‘দ্য ইন্ডিয়ান হ্যান্ডরিটেন লেটার কোম্পানি’র কাজই হল প্রেমপত্র লেখা।

মেইল, ফেসবুক, হোয়্যাটসঅ্যাপের যুগে হাতে লেখার অভ্যাস ফিরিয়ে এনেছেন অনুভব। তিনি যশবন্ত চেরিপল্লিকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তুলেছেন এই সংস্থা। টাইপ করে পাঠানো চিঠিতে যে যান্ত্রিকতা থাকে তা ভাঙতে চেয়েছেন তাঁরা। আর তাই চালু রেখেছেন হাতে লেখার অভ্যাস। কিন্তু পুরোটাতে একটা বাণিজ্যিক কর্পোরেট মোড়ক দিতে পেরেছেন তাঁরা। চিঠি লেখার দাবি নিয়ে তাঁদের কাছে আসেন প্রেমিকরা। কেউ পুরোটা বলে দেন। তাঁদের কাজ সেটি হাতে লিখে পাঠানো। কেউবা আবার যা বলতে চান তা ভাষায় প্রকাশ করে উঠতে পারেন না। তখন কল্পনাশক্তির শরণ নিতে হয় অনুভবদের। অন্যের মনের কথা তাঁরাই লিখে দেন।

এছাড়া সে চিঠি পাঠানোর দায়িত্বও নেয় সংস্থা। ঠিক যেভাবে জন্মদিনে ফুল বা কেক পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়, সেই ভাবেই পাঠিয়ে দেওয়া হয় প্রেমপত্র। এভাবেই নিজের সংস্থাকে দিন দিন বড় করে তুলেছেন অনুভব ও তাঁর সঙ্গী। প্রেমপত্র লিখে দেওয়ার দাবি নিয়ে আসা লোকের সংখ্যা যে কম তাও নয়। দিল্লি থেকেই বেশি অর্ডার আসে বলে জানান তাঁরা।

এ কাজকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছেন তাঁরা। প্রথমত হাতের লেখা বাঁচিয়ে রাখা। দ্বিতীয়ত, অন্যের হয়ে অন্যের মনের কথা সঠিকভাবে প্রকাশ করাও চাট্টিখানি কথা নয়। তবে অনুভব জানান, এরকম চিঠির মাধ্যমে যখন প্রেমিক-প্রেমিকার কোনো সমস্যা মিটে যায় তখনই সত্যিকার আনন্দ হয়।

তবে অনুভব একাই নন, একই কাজ করে চলেছে ‘লেটারমেল’ নামে এক সংস্থা। কাজ একই, চ্যালেঞ্জও একই। তবে দুই সংস্থাকেই সবসময় যে প্রেমপত্র লিখতে হয় তা নয়, ব্যক্তিগত নানা চিঠি লেখার অনুরোধও আসে তাঁদের কাছে। আর প্রায় দক্ষ অভিনেতার মতোই নিজেকে ছাপিয়ে অন্য একটা মানুষ হয়ে উঠতে হয় তাঁদের। অন্যের দুঃখ, আবেগ, আনন্দ অনুভব করে ফুটিয়ে তুলতে হয় শব্দে।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

বিডি-প্রতিদিন/২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর