২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০১:২৫

অভাবের তাড়নায় ৬৫০ টাকায় সন্তানকে বিক্রি আদিবাসী দম্পতির

অনলাইন ডেস্ক

অভাবের তাড়নায় ৬৫০ টাকায় সন্তানকে বিক্রি আদিবাসী দম্পতির

শিশুর দায়ভার বহন করা সম্ভব হচ্ছিল না দুঃস্থ মা-বাবার। 'দিন আনি দিন খাই' অবস্থাতে জীবন কাটাছিল হরিতা ত্রিপুরা এবং চরণ ত্রিপুরা দম্পতির। তাই তারা বুঝে উঠতে পারছিলেন না সন্তানের লালন-পালন করবেন কেমন করে! 

আর তাই সবশেষে দারিদ্র্যের কাছে হার মেনে মাত্র ৬৫০ টাকার জন্য বিক্রি করে দিলেন নিজেদের শিশুকন্যাকে। ভারতের ত্রিপুরার এক উপজাতি সম্প্রদায়ের দম্পতির চরম দারিদ্র্যের চাপে নেওয়া এমন সিদ্ধান্তে হতবাক গোটা দেশ।

জানা গিয়েছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর হরিতা এবং তার স্বামী চরণ নিজেদের  দু’বছরের সন্তানকে রিতা চকমার কাছে বিক্রি করে দেন। ত্রিপুরার উপজাতি মানুষের এই দুরবস্থা নিয়ে কথা বলার সময় প্রশাসনের উপর রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। 

তিনি জানিয়েছেন, “ত্রিপুরার উপজাতি এলাকাগুলি চরম দারিদ্র্য কবলিত। এখানে মানুষ খিদের জ্বালায় জ্বলছেন অহরহ। আর এই খবরগুলিই প্রকাশ্যে আসতে দেয় না প্রশাসন। এখানকার মানুষের টিকে থাকার লড়াই যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, সেখানে সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। আগেও পেটের তাড়নায় সন্তানকে বিক্রি করার ঘটনা ঘটেছে এই অঞ্চলে।”

এদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তৎপরতা অবলম্বন করেছে পুলিশ। শিশুটিকে আগরতলার অভয়নগর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটিতে পেটের তাড়নায় সন্তানকে বিক্রি করার ঘটনা এই প্রথম নয়। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে খোয়াই জেলার মুণ্ডা বস্তি এলাকায় এক দম্পতিও ৪ হাজার ৫০০ টাকার বিনিময়ে সদ্যোজাতকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

 

বিডি প্রতিদিন/২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬/ হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর