২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১০:০৪

গল্পটি এ কালের পঞ্চপাণ্ডব ও দ্রোপদীর

অনলাইন ডেস্ক

গল্পটি এ কালের পঞ্চপাণ্ডব ও দ্রোপদীর

এ কালের দ্রৌপদী তিনি। নাম রাজো বর্মা। উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনের বাসিন্দা তিনি। মহাভারতের দ্রৌপদীর মতোই বিয়ে করেছেন পাঁচ পুরুষকে যারা সম্পর্কে সহোদর। ২১ বছর বয়সী রজোর সলজ্জ মন্তব্য, প্রথম প্রথম খুব অস্বস্তি লাগলেও ধীরে ধীরে ভালোভাবেই মেনে নিয়েছি।  আমি আমার পাঁচ স্বামীকেই একইরকম সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করি। 

এক বাড়িতেই পাঁচ স্বামীকে নিয়ে বসবাস রজোর। ঘুরে ঘুরে একেক রাতে একেক স্বামীর সঙ্গে রাত্রিযাপন করেন তিনি। ১৮ মাসের একটি ছেলে রয়েছে রাজোর। তবে সেই ছেলের প্রকৃত পিতা কে, তা জানেন না রাজো নিজেই। 

পাঁচ ভাইকে বিয়ের কারণটাও অদ্ভুত। চার বছর আগে পারিবারিকভাবেই গুড্ডু নামে একজনের সঙ্গে রাজোর বিয়ে হয়। বিয়ের পরে রাজো বুঝতে পারেন, পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। রাজোর মনে শঙ্কা জাগে এই ভেবে যে, বিয়ের পর গুড্ডু বউকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লে ভাইদের মধ্যে বন্ধন শিথিল হয়ে যাবে না তো? মহাভারতের দ্রৌপদীর কথা মনে হয় তার। রাজো সিদ্ধান্ত নেন, তিনি গুড্ডুর অন্য ভাইদেরও বিয়ে করবেন। এতে পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ থাকবে। আপত্তি ছিল না গুড্ডুরও। ফলে একে একে বইজু, সন্ত রাম, গোপাল এবং দীনেশকেও বিয়ে করেন রাজো। সবচে' বড় ভাই বইজুর বয়স ৩২ বছর আর ছোট দীনেশ ১৯ বছর বয়সী।

গুড্ডু বলেন, আমাদের পরিবারের আকার বড় হলেও আমাদের মধ্যে কোনো অশান্তি নেই। রাজোকে নিয়ে অামাদের ভাইদের মধ্যে কোনরকম যৌন ঈর্ষা নেই। অপরদিকে রাজো বলেন, ‘আমার মা-ও তিন ভাইকে বিয়ে করেছিলেন। আমি বরং অন্য বিবাহিত মেয়েদের থেকে অনেক বেশি ভালোবাসা পাই।  এবেলা।
 

বিডি-প্রতিদিন/ ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর