২৫ অক্টোবর, ২০১৬ ২০:৩৫

পারমাণবিক রাসায়নিক তৈরিতে পাচার হচ্ছে তক্ষক!

অনলাইন ডেস্ক

পারমাণবিক রাসায়নিক তৈরিতে পাচার হচ্ছে তক্ষক!

ভারতের ডুয়ার্সের জঙ্গলে মূলত দু’ধরনের তক্ষক মেলে। একটি লেপার্ড গেকো। অন্যটি, টোকে গেকো। তবে লেপার্ড গেকো বিরল। পাচারকারীদের থাবায় এরইমধ্যে মণিপুরের জঙ্গল থেকে লোপাট গোল্ডেন গেকো। গুজব আছে, এই তক্ষকের শরীরে রয়েছে একপ্রকার বিষাক্ত দানা। যা পারমাণবিক রাসায়নিক তৈরিতেও কাজে লাগে! নির্ভরযোগ্য প্রমাণ না থাকলেও তক্ষক উজাড় হয়ে যাচ্ছে জঙ্গল থেকে। খবর সংবাদ প্রতিদিনের। 

পাচারকারীরা বলছেন, দৈর্ঘ্য এবং ওজনের উপরই নির্ভর করে তক্ষকের দাম। তক্ষকের ওজন বাড়াতে খাওয়ানো হয় সেদ্ধ ডিম! কখনও আবার হরমোন ইঞ্জেকশন দেয়া হয়!

শীতে একটু অবশ হয়ে পড়ে প্রাণীটি। সে সময়ই এদের ধরা সহজ। ফলে নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত তক্ষক পাচার সবচেয়ে বেড়ে যায়। এবার অবশ্য তক্ষক-সহ উত্তরের জঙ্গল থেকে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচার রুখতে এসএসবি, পুলিশ ও বন দফতরকে নিয়ে তৈরি হয়েছে কোর কমিটি। 

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মাদারিহাটের খয়েরবাড়িতে তক্ষক পাচারকারীদের বড় মাপের আস্তানার খোঁজ মিলেছে। খুট্টিমারির জঙ্গল সংলগ্ন মরাঘাট, ধূপগুড়ির দুরামারি ও বৈকুণ্ঠপুরের সরস্বতীপুর চা বাগানের বস্তিতেও মিলেছে চক্রের সন্ধান। বন দফতর জানিয়েছে, শিলিগুড়ির অদূরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ফুলবাড়িতেও রয়েছে পাচারকারীদের গোপন আস্তানা। 

নিরাপত্তরক্ষীরা বলছেন, মালদহে রয়েছে তক্ষক পাচারে যুক্ত উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় চক্রটি। বেশ কয়েকবার অভিযান চালালেও মূল অপরাধীদের এখনও গ্রেফতার করা যায়নি। তক্ষক পাচারের জাল ছড়িয়ে অাসাম, মণিপুরের সঙ্গে চীন, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার এমনকি থাইল্যান্ডেও।

 

বিডি প্রতিদিন/২৫ অক্টোবর, ২০১৬/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর