রোমানিয়ান টিনএজার আলেক্সজান্দ্রা খেফরেনের কুমারীত্ব ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৪ কোটি ৪২ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একটি জার্মান ওয়েবসাইটে ১.৭ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ডের বিনিময়ে কুমারীত্ব বিক্রির বিষয়টি ব্রিটিশ টিভিতে সাক্ষাৎকারে স্বীকারও করে নিয়েছেন আলেক্সজান্দ্রা। তার কুমারীত্ব বিক্রির জন্য এসকর্ট সার্ভিস ওয়েবসাইটের কর্ণধার জ্যান জ্যাকোবিয়েল্সকি নেবেন ২০ শতাংশ কমিশন। গোটা প্রক্রিয়াটাই তিনি তদারকি করছেন বলে জানা গেছে।
জ্যান ‘সিন্ডেরেলা’ নাম একটি জার্মান এসকর্ট সার্ভিস পরিষেবা প্রদানকারী ওয়েবসাইট চালান, তাও আবার ডর্টমুন্ডে নিজের বাড়ির বেডরুমে বসে। তার কাছে আলেক্সজান্দ্রা-সহ চারজন কুমারী নারী রয়েছে বলে ফলাও করে ওয়েবসাইটে জানিয়েছেন ২৬ বছরের জ্যান। মুখের কথায় নয়, মহিলাদের রীতিমতো শারীরিক পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় কুমারীত্বের প্রমাণ দিতে। স্বাক্ষর করতে হয় এই মর্মে, যে তিনি কোনোদিন নিরোধ ব্যতীত কারও শয্যায় যাননি।
জার্মানিতে দেহব্যবসা বৈধ, তাই পুলিশি ঝুট-ঝামেলার ভয় নেই জ্যানের। কিন্তু ২৬ বছরের জ্যানের বাবা-মা জানেন না ছেলে কী ব্যবসা করে! তাদেরই বেশি ভয় পান জ্যান। আলেক্সজান্দ্রার অবশ্য সে সব ঝামেলা নেই। তিনি একজন উঠতি রোমানিয়ান মডেল। তার বাবা একজন পুলিশ, মা ফার্মাসিস্ট। মেয়ে যেভাবে দেহের বিজ্ঞাপন দিয়ে বেড়াচ্ছেন, তাতে বেজায় রুষ্ট তার অভিভাবকরা। দুইজনেই মেয়েকে স্পষ্ট জানিয়েছেন, এখনই এসব বন্ধ না করলে বাড়ি ছাড়তে হবে।বাবা-মায়ের ‘হুমকি’তে অবশ্য ভয় পান না আলেক্সজান্দ্রা খেফরেন। স্পষ্টই জানিয়েছেন, ১.৭ মিলিয়ন পাউন্ড পেলেই অচেনা যে কোনো পুরুষের সঙ্গে শয্যায় যেতে রাজি তিনি। তিনি একা নন, তার সমবয়সী আরও অনেকেই এই কাজ করে মোটা অর্থ আয় করেন। কেউ কেউ নিজের পড়াশোনার খরচ জোগার করতেও এই ব্যবসায় নামেন। ইতিমধ্যেই ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখে একজন ধনী ব্যবসায়ী তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে মেল অনলাইনের কাছে দাবি করেছেন এই অষ্টাদশী রোমানিয়ান।
এসকর্ট সার্ভিস ওয়েবসাইটটির কর্ণধার জ্যান জ্যাকোবিয়েল্সকিও বলেছেন, ‘আমি আলেক্সজান্দ্রাকে কোনো জোর করিনি। ও স্বেচ্ছায় কুমারীত্ব বিক্রি করতে আমার দ্বারস্থ হয়। আমি কমিশনের বিনিময়ে সাহায্য করছি মাত্র।’
তিনি আরও দাবি করেন, কোনো ব্যক্তি যদি বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে যোগাযোগ করেন, তাহলে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় তার শয্যাসঙ্গী হতে পারেন আলেক্সজান্দ্রা, ফ্লোরেনটিনারা। যারা কুমারীত্ব বিক্রি করছেন, তাদের যদি কখনও মনে হয় ওই ব্যক্তি সুস্থ নন বা অসৌজন্যতাবোধ দেখাচ্ছেন, তাহলে সেখানেই সম্পূর্ণ চুক্তি বাতিল হয়ে যায়। নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে নাকি অত্যন্ত সতর্ক তার এসকর্ট সার্ভিস, দাবি জ্যানের।
কোন ব্যক্তি তার এসকর্ট পরিষেবার সুবিধা পেতে চাইলে আগাম ৪০ শতাংশ টাকা জমা দিতে হয়, বাকিটা পরে দিলেই হয়। আলেক্সজান্দ্রা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন বলে জানা গেছে। বিজ্ঞাপন দেখে যে ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি টাকা দেবেন, তার শয্যাতেই যাবেন আলেক্সজান্দ্রা।
বিডি প্রতিদিন/ ১১ ডিসেম্বর ২০১৬/ একে
