২৩ জানুয়ারি, ২০১৭ ১৮:৫২

নারী-শিশুদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে ভিনগ্রহের জীব!

অনলাইন ডেস্ক

নারী-শিশুদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে ভিনগ্রহের জীব!

কেউ বলছেন অশরীরী, কেউ বলছেন জঙ্গি ঢুকেছে এলাকায়। বাড়ি থেকে নারী, শিশুদের নাকি তুলে নিয়ে যাচ্ছে অশরীরী, জঙ্গিরা। কোথাও নারীদের উপর চালাচ্ছে পাশবিক অত্যাচার। হচ্ছে ডাকাতিও। কেউ আবার ফেসবুকে লিখছেন, 'যারা এই দুষ্কর্ম করছে, তাদের চোখে দেখা যাচ্ছে না। তারা অশরীরী। তাই পুলিশও তাদের ধরতে পারবে না।'

গত কয়েকদিন ধরেই হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকে এই গুজব ছড়াচ্ছে। ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, মালদহ, বর্ধমানসহ অন্যান্য জেলায় দাবানলের মতো গুজব ছড়িয়েছে যে, এলাকায় নাকি দুষ্কৃতীরা দল বেঁধে ঢুকেছে এবং রাতের অন্ধকারে হামলা চালাচ্ছে৷ কোথাও ডাকাত, কোথাও ছেলেধরা, কোথাও বোরখা পরা চোর, কোথাও আবার জঙ্গি, অশরীরী। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে চায়ের দোকানে, রং চড়িয়ে বেড়ে চলেছে এই গুজব৷ যে কারণে এলাকায় অচেনা লোক দেখলেই ধরে গণপিটুনি দিতে শুরু করছে অতি উৎসাহীরা৷ করছেন রাত পাহারার ব্যবস্থা।

এদিকে সাধারণ মানুষকে এই ধরনের গুজব ছড়াতে নিষেধ করেছে পুলিশ। মানা করা হয়েছে, এই ভ্রান্ত গুজবে কান দিতেও। এ বিষয়ে খড়দহ থানা ও ব্যারাকপুর কমিশনারেটের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, ‘সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ-ফেসবুকে কয়েকটি গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভিনগ্রহের জীব, জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা নাকি ঢুকে পড়েছে কোথাও কোথাও। এ ধরনের গুজব ছড়াবেন না, গুজবে কান দেবেন না।’

এই গুজবের জেরেই হুগলির বলাগড়ে শিক্ষিকা অপর্ণা ঘোষ ও তার মাকে গণপিটুনি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশের একটি অংশ। ঘটনায় এগারোজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ৷ ঘটনায় যুক্ত বাকিদেরও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ৷ গত শনিবার রাতে এই গণধোলাইয়ের সময় স্থানীয় বিধায়ক অসীম মাঝিকেও হেনস্তা করা হয়৷ তাকে ঘিরে অশ্লীল গালিগালাজ দেয় কিছু যুবক৷ তাদেরও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ৷ শিক্ষিকা ও তার মা যে গাড়িটিতে ছিলেন সেটি কেরোসিন তেল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে৷ বেধড়ক মারধরে গুরুতর আহত ওই শিক্ষিকা ও তার মাকে নদিয়ার কল্যাণীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ শনিবার রাতে এই ঘটনার পর অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে৷ সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন


বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর