১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ১৯:১৮

হিমালয়ের জঙ্গলে বেঁচে থাকা বৃদ্ধার বয়স ৮৩!

অনলাইন ডেস্ক

হিমালয়ের জঙ্গলে বেঁচে থাকা বৃদ্ধার বয়স ৮৩!

আজকাল ব্যস্ততার মাঝেও আমরা একটু স্বস্তি খুঁজি। মাঝে মাঝে বেড়িয়ে পড়ি এদিক-সেদিক। ট্রাভেল ব্যাগ কাঁধে নিয়ে পাহাড়ে বা সমুদ্রের মাঝে নিজেকে এলিয়ে দিই অজান্তে। শহুরে আদব-কায়দার নজর এড়িয়ে পাহাড়ের নিস্তব্দতা, সৌন্দর্যের মোহে কখনও কখনও মনে হয় যেন বছরের পর বছর এই প্রকৃতির কোলেই শুয়ে থাকি।

৮৩ বছরের ছেত্রী দেবী হিমালয়ের কোলে নিজেকে সঁপে দিয়েছেন। পাহাড়ের মুগ্ধ করা বন্য-সৌন্দর্যের মাঝে থাকার কথা আমরা শুধু ভাবি, তারপর পকেটে টান পরার ভয়ে ফের কাজের জগতে ফিরে আসি। কিন্তু ছেত্রী দেবী প্রকৃতিকে ভালোবেসে বসবাস করেছেন। একাই। গ্রেট হিমালয়ান ন্যাশানাল পার্কের একমাত্র মানুষ হলেন এই ছেত্রী দেবী। একচিলতে কাঠের ঘরে না আছে বিদ্যুত্‍, না আছে মোবাইল ফোন, না আছে ঘড়ি! কোন কিছুরই তাঁর দরকার পড়েনি। সভ্য জগতের সঙ্গে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ও একাকি থেকে ওই নির্জন ও গভীর জঙ্গলে হিংস্র পশুদের সঙ্গেই জীবনটা সুন্দর করে কাটাচ্ছেন। ভয়-ডর বলে তার কিছু নেই। দিনে হোক বা রাতে, তাঁর বাড়ির সামনে দিয়েই বাচ্চা-সহ কালো ভাল্লুক, লেপার্ড, বিষাক্ত সাপ চলাচল করে। তিনি কখন তাদের শিকার করেননি। কখন তাদের যাতায়াতের পথে বাধা হয়েও দাঁড়াননি।

জীববৈচিত্র্যে ভরপুর এই ন্যাশানাল পার্কটি ইউনেস্কো স্বীকৃত। ৭৫৪ স্কোয়ার কিলোমিটার বিস্তৃত এই পার্কটিতে লেপার্ড, হিমালয়ের কালো ও বাদামি রঙের ভাল্লুক, স্নো লেপার্ড-সহ প্রায় ৩১টি স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে। এছাড়া ৩০০ প্রজাতির পাখি, সাপ, ১০০-র বেশি প্রজাতির কীটপতঙ্গ রয়েছে এই জাতীয় উদ্যানে। পরিবারের বাকি সদস্যরা জাতীয় উদ্যানের বাইরে থাকলেও, নিজে থাকেন এই নির্জন ও ভয়ংকর জঙ্গলে। স্বামী মারা গেছে কয়েক দশক হয়েছে। স্বামীর হাতে তৈরি বাড়ি ও খামারবাড়ি ছেড়ে তিনি যেতে চাননি। নিজেদের তৈরি করা সুন্দর বাগানে পেট চলাবার মতো গম, বার্লি, আলু, ভুট্ট ও রাজমা চাষ করেন তিনি। পরিবারের সঙ্গে না থেকে, বন্য প্রানীদের সংস্পর্শে থেকে ও পাহাড়ি প্রকৃতির মাঝে দিব্য রয়েছেন তিনি। সূত্র: এই সময়।

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর