২৯ মার্চ, ২০১৭ ০৩:৪৯

‘২৫০ বছর’ যেভাবে বেঁচে ছিলেন লি চিং ইওয়েন! (ভিডিও)

অনলাইন ডেস্ক

‘২৫০ বছর’ যেভাবে বেঁচে ছিলেন লি চিং ইওয়েন! (ভিডিও)

এখনও পর্যন্ত সঠিকভাবে কেউ বলতে পারেন না যে ঠিক কত বছর বেঁচেছিলেন লি চিং ইওয়েন। তবে লি মারা যাওয়ার আগে দাবি করেছিলেন তার জন্ম ১৭৩৬ সালে।

বিশ্বে এখন পর্যন্ত স্বীকৃত দীর্ঘ জীবনের ঘটনা ১২২ বছর। ফ্রান্সের এক মহিলা  ১২২ বছর ১৬৪ দিন পর্যন্ত বেঁচেছিলেন। কিন্তু ১৯৩০ সালে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস তাদের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বিশ্বে সবচেয়ে দীর্ঘ বয়সের জীবিত মানুষটি হলেন লি চুং ইউয়েন। সেই সময়েই নাকি লি-এর বয়স ২৫০ পার হয়ে গিয়েছিল। 

সেই প্রতিবেদনটি প্রকাশের তিন বছর পরে মৃত্যু হয় লি চিং ইউয়েন। চিনের সেচুয়ান-এর কুইজিয়াং জিয়ানে জন্ম হওয়া লি মৃত্যুর আগে দাবি করেছিলেন, তিনি ১৭৩৬ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু পরে এই নিয়ে কাজ করতে গিয়ে চিনের চেংদু ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ওয়ু চুং চেইহ বেশকিছু নথি খুঁজে পান। এগুলির একটিতেও লি এর জন্মতারিখের উল্লেখ থাকা নথি ছিল না। কিন্তু অধ্যাপক ওয়ু তার সংগৃহীত তথ্যে দেখান, ১৮২৭ সালে লিকে ১৫০ বছরের অভিন্দন জানানো হচ্ছে। 

অন্য একটি নথিতে ওয়ু দেখান, ১৮৭৭ সালে লি-এর ২০০ বছরের পূর্তি অনুষ্ঠান হচ্ছে। ওয়ু-এর বের করা তথ্যকে সত্য বলে ধরলে দেখা যায় লি-এর জন্মসাল ১৬৭৭। মৃত্যুর আগে লি-এর দাবি ছিল তার জন্ম হয়েছিল ১৭৩৬ সালে। কিন্তু, অধ্যাপক ওয়ু-র আবিষ্কার করা তথ্যে লি-এর জন্মসাল আরও অনেক পিছনে। 

যেহেতু লি এবং অধ্যাপক ওয়ু-র দাবি সপক্ষে জন্মসালের উল্লেখ থাকা কোনও নথি পাওয়া যায়নি, তাই এই দীর্ঘজীবনের ইতিহাসকে সরকারিভাবে স্বীকৃত দেওয়া যায়নি। কিন্তু বিতর্কিত নথিকে মেনে নিলে লি-ই এখন পর্যন্ত বিশ্বে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকা মানুষ ছিলেন। 

এমন দীর্ঘজীবনের রহস্যটা নিজের মুখেই মৃত্যুর আগে সেকথা ফাঁস করেছিলেন লি। লি জানিয়েছিলেন মাত্র ১০ বছর বয়সে শিক্ষা সম্পন্ন করেছিলেন তিনি। এরপরে হিমালয়ের কোলে প্রাচীন ভেষজ গাছ খুঁজে বের করার কাজ করতেন। আর সেই সব ভেষজ লোকালয়ে এনে বিক্রি করতেন। এইসব ভেষজ নিজেও খেতেন লি। আর এই ভেষজের কারণেই নাকি তার শরীর জরা-ব্যাধি বাসা বাঁধতে পারেনি।  

মৃত্যুকালে লি ২৪ জন স্ত্রীকে রেখে গিয়েছিলেন। তার সন্তান-সন্ততির সংখ্যা ছিল ২০০। লি নাকি তার উত্তরাধিকারিদের বলতেন, দীর্ঘ বয়স পর্যন্ত বাঁচতে চাইলে হৃদয়কে নরম করতে হবে। কচ্ছপের মতো ধীরস্থির হয়ে চলাফেরা করতে হবে। যখন হাঁটাহাঁটি করবে, তখন যেন মনে হয় পায়রা উড়ে বেড়াচ্ছে। আর ঘুমাতে হবে কুকুরের মতো।

বিডি-প্রতিদিন/ ২৯ আগস্ট, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১০

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর