২১ মে, ২০১৭ ১০:৩৯

যে মিউজিয়ামে সবকিছু অস্বাভাবিক

অনলাইন ডেস্ক

যে মিউজিয়ামে সবকিছু অস্বাভাবিক

মিউজিয়ামের সরল বাংলা নাম হল ‘জাদুঘর’। কিন্তু কলকাতা শহরের মানুষ এক কালে ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামকে ‘মড়া সোসাইটি’ বলে ডাকতো। সেই নাম এই প্রজন্মের শহরবাসী হয়তো মনে রাখেননি। আক্ষরিক অর্থেই মিউজিয়াম মৃতের সংরক্ষণ স্থান। কেবল মানুষ বা জীবজন্তুর মরদেহ নয়। ইতিহাসের ‘মৃত’ সময়কেও সংরক্ষিত রাখার চেষ্টা করে মিউজিয়াম। সেটাই তার প্রধান কাজ।

এই কাজটিকে আরো এককাঠি সরেশ করে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার মাটার মিউজিয়াম। এই সংগ্রহালয়টির বিশেষত্ব হলো-এটি একটি মেডিকেল মিউজিয়াম। তবে এখানে রাখা রয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এমন কিছু উদাহরণ, যাদের আর যাই হোক কিছুতেই ‘স্বাভাবিক’ বলা যায় না। ১৮৫৮ সালে এক চিকিৎসক টমাস ডেন্ট মাটার বায়োমেডিকেল গবেষণার জন্য এই মিউজিয়ামটিকে গড়ে তোলেন। বর্তমানে এই মিউজিয়াম কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস অফ ফিলাডেলফিয়ার তত্ত্বাবধানে।

এই মুহূর্তে মাটার মিউজিয়ামে প্রায় ২০,০০০ এমন সংগ্রহ রয়েছে। কিন্তু তার অনেকটাই গণচক্ষুর অন্তরালে রাখা। মোট সংগ্রহের মাত্র ১৩ শতাংশ এখানে ডিসপ্লে-তে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে মিউজিয়াম-সূত্রে। এর কারণ এমনটা হতেই পারে যে, এই সব সংগ্রহ দেখার মতো বুকের পাটা অধিকাংশ মানুষেরই নেই। এই বিপুল সংগ্রহের একটা বড় অংশ আবার হাড় সংক্রান্ত। 

মাটার মিউজিয়ামের সংগ্রহে রয়েছে বিপুল পরিমাণ মাথার খুলি। বলাই বাহুল্য, এই খুলিগুলিতে কোনও না কোনও অস্বাভাবিকতা রয়েছে। তাছাড়া এই জাদুঘরেই রয়েছে ৭ ফুট ৬ ইঞ্চি লম্বা মানবকঙ্কাল। এর বাইরে বিপুল সংখ্যক মেডিকেল অ্যানোম্যালির উদাহরণ রয়েছে এখানে।

দেহে অস্বাভাবিকতা সম্পন্ন মানুষ এখানে আবেদন করতেই পারেন মৃত্যুর পরে দেহ দানের জন্য। মাটার মিউজিয়াম সসম্মানে গ্রহণ করবে সেই আবেদন। 

বিডি প্রতিদিন/ ২১ মে ২০১৭/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর