২১ জানুয়ারি, ২০১৮ ১৭:৪৬

স্ত্রীর স্মৃতি ফেরাতে ৫৫তম বিবাহবার্ষিকীতে ফের মালাবদল!

অনলাইন ডেস্ক

স্ত্রীর স্মৃতি ফেরাতে ৫৫তম বিবাহবার্ষিকীতে ফের মালাবদল!

ফিনফিনে সাদা চুলে বরের সাজ। আর কুঁচকে যাওয়া চামড়া নিয়েই কনের বেশে আশি পেরনো বৃদ্ধা। জীবনের পঞ্চান্ন বসন্ত পার করে আবার সাত জন্মের অঙ্গীকার। অ্যালঝেইমার ও ডিমেনসিয়া রোগে আক্রান্ত স্ত্রী স্মৃতিবিভ্রাটে ভুলেছেন সবই। 

স্মৃতি ফেরাতে ৫৫তম বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রী গীতাকে ফের বিয়ে করলেন দমদম ক্যান্টনমেন্টের পবিত্র নন্দী। সানাই, মালাবদল, উলু-ধ্বনি, ভুরিভোজ। বাদ গেল না কিছুই। দম্পতিকে শুভেচ্ছা জানালেন থেকে আত্মীয় থেকে অতিথিরা।

১৯৬৩ সাল। একজন হয়েছিলেন আরেজনের। এক হয়েছিল দুই হাত। দুই জীবন। সাত পাকে ঘুরে শপথ নিয়েছিলেন তারা। আর সেই অঙ্গীকারে আবদ্ধ থেকেই আবার নিলেন শপথ। ৫৫ বছরের দাম্পত্যজীবনে নিজের স্ত্রীকেই আবার ঘটা করে বিয়ে করলেন দমদম ক্যান্টনমেন্টের বাসিন্দা পবিত্র নন্দী।

অ্যালঝেইমার ও ডিমেনসিয়া। জটিল রোগে আক্রান্ত স্ত্রী গীতা। জীবনের নানা ওঠাপড়ার স্মৃতি মনে নেই কিছুই। চিনতে পারেন না প্রিয় স্বামীকেও। বাকরুদ্ধ হয়েছেন। চিকিৎসকের পরামর্শে তাই বিবাহবার্ষিকীতেই ফের বিয়ের পরিকল্পনা করেন আশি পেরনো বৃদ্ধ। যদি মনে পড়ে সেইসব দিন ৷

অধ্যাপক পবিত্র নন্দী পড়াতেন গীতাদেবীকে। সেই থেকেই হৃদয় বিনিময়। তারপর পবিত্রবাবু অধ্যাপক। গীতােদবী বিআরসিং হাসপাতালের চিকিৎসক। দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান। বিয়ের আগের প্রেম মানেনি মেয়ের পরিবার। কত অপেক্ষা-কত পরিশ্রম করে আপন করেছিলেন প্রিয়তমাকে।

জীবনের পঞ্চান্ন বসন্ত পেরিয়ে বিবাহবার্ষিকীতে ফের সাত পাকে আবদ্ধ হলেন বৃদ্ধ দম্পতি। অ্যালঝেইমারে আক্রান্ত স্ত্রী-র স্মৃতিবিভ্রাটের কারণে ভুলেছেন সবই। ঠিকমত কথাও বলতে পারেন না। স্মৃতি ফেরাতে ফের বিয়ের অনুষ্ঠানের পরামর্শ দেন চিকিৎসক। 

দমদম ক্যান্টনমেন্টের বাসিন্দা পবিত্র নন্দী এরপরই ৫৫তম বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রী গীতা নন্দীকে নিয়ে বিয়ের আয়োজন করেন তিনি। মালাবদল, উলু-ধ্বনি, ভুরিভোজ। বাদ গেল না কিছুই। দম্পতিকে শুভেচ্ছা জানালেন থেকে আত্মীয় থেকে অতিথিরা।

বিডি প্রতিদিন/২১ জানুয়ারি ২০১৮/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর