শিরোনাম
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০২:৩০

ফিট থাকতে বাঘ-সিংহেরও ডায়েট কন্ট্রোল!

অনলাইন ডেস্ক

ফিট থাকতে বাঘ-সিংহেরও ডায়েট কন্ট্রোল!

ফাইল ছবি

সুস্থ্য থাকার জন্য শুধু মানুষই ডায়েট কন্ট্রোল করে- যদি এমনটি মনে করে থাকেন তাহলে আপনার ধারণা একদম ভুল। ডায়েট কন্ট্রোল করে বাঘ সিংহের মত বন্যেরাও। ওদের মাছ ভাত মুখে রোচে না। রুচিতে লাগে কাঁচা তাজা মাংস। প্রতিদিন বিপুল পরিমাণে এসব পেটে পুড়লে গ্রীষ্মে হজমে গণ্ডগোল নিশ্চিত। অতএব খাবারে লাগাম।

সামনেই গরমকাল। এই সময়েবেশি করে এইসব হাবিজাবি খেলে পেটের সমস্যা অবধারিত। সেক্ষেত্রে খাবার বা খাদ্যাভ্যাসে লাগাম দেওয়া পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। অর্থাৎ ডায়েট চার্টের প্রয়োজন রয়েছে। ডায়েট না মানলে সমস্যা হয় চিড়িয়াখানার পশুদেরও। বিশেষ করে গরম কালে এই সমস্যা বেশি হতে পারে। তাই গরম কাল এলেই ডায়েট মেনে দৈনন্দিন খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়।

ডায়েট বেশি করে প্রয়োজন হয় বাঘ সিংহ বা চিড়িয়াখানায় নবাগত জাগুয়ার বা চিতাদের জন্য। এরা প্রত্যেকেই মোষের মাংস খায়। শিশু অবস্থায় শুধু মায়ের দুধের উপরে থাকলেও বড় হওয়ার সঙ্গে বংশ পরম্পরায় মাংসই হয়ে ওঠে ‘জাতীয় খাদ্য’। 

কলকাতা টুয়েন্টিফোর'র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের আলিপুর চিড়িয়াখানার পশুদের স্বাস্থ্যের দেখাশোনার দায়িত্ব রয়েছে ডাক্তার শিবাজি ভট্টাচার্যের উপর। তিনি বলেন, “এইসব মাংসাশী প্রাণী যখন বনে থাকে তখন এদের এইসব ডায়েটের প্রয়োজন হয় না। কারণ সেখানে নিত্য খাবার মেলে না। খাবার মিললেও পরিমাণের ঠিক থাকে না। সোজা কথা খুঁটে খেতে হয়। কিন্তু চিড়িয়াখানার পশুকে খুঁটে খেতে হয় না।” বেঁচে থাকার জন্য কোন লড়াই নেই। টাইম টু টাইম শুধু মানুষের মনোরঞ্জনের জন্য খাঁচার বন্যদের শরীর তরতাজা রাখতে খাবার দেওয়া হয়। শিবাজীবাবু বলেন, “শীতকালে বেশি খাবার খেলে কোন সমস্যা হয় না, কারণ তাপমাত্রা কম থাকে। খাবার হজমের পক্ষে শীতকাল ভালো। কিন্তু গরম কালে বিশেষ করে এখানকার আর্দ্রতা প্রচুর বেশি থাকে। চিড়িয়াখানার পশুদের পক্ষে তা খুব একটা সুখকর নয়। এর উপর যদি শীতকালের মতোই খাওয়া-দাওয়া চলে তাহলে হজমের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই এই সময়ে এদের খাবারের পরিমাণ কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হয়।”

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর