১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০৫:২৩

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস!

অনলাইন ডেস্ক

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস!

বিশেষজ্ঞদের মত, মানসিক চাপ কমতে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস বড় ভূমিকা রাখে। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য শ্বাসযন্ত্রের সঠিক ক্রিয়াকলাপের কোনো বিকল্প নেই। আধুনিক সময়ে বিভিন্ন কারণে মানু্ষ অত্যধিক মানসিক চাপ অনুভব করে থাকে। এ চাপ আসতে পারে পারিবারিক জীবনের সমস্যা থেকে শুরু করে কর্মস্থলের কোনো কারণে। তাই নিচে গভীর শ্বাস নেওয়ার নানা উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :

চাপ কমায়: আগেই বলেছি গভীর  শ্বাস চাপের মাত্রা কমায়। আতঙ্ক, ভয় কমিয়ে পরিস্কারভাবে ঠাণ্ডা মাথায় ভাবতে শেখায়। হৃদস্পন্দনের হার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও দারুণ কার্যকরী গভীর শ্বাস।

শরীরকে বর্জ্যমুক্ত করে: গভীর শ্বাস শরীরের বর্জ্য ও দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সহায়তা করে। ফলে শরীর থাকে নানা রোগমুক্ত।

রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে: গভীর শ্বাস রক্ত পরিস্কার করে। এছাড়া এটি শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত চলাচলে সহায়তা করে।

ফুসফুসের পেশী শক্ত করে: গভীর শ্বাস ফুসফুসের পেশী শক্তিশালী করে। ফলে শরীর সুস্থ্ থাকে।

অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ায়:  গভীর শ্বাস শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ায়। একেক জনের একেক রকম জীবনযাপনের জন্য শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ হয় কমবেশি। এক্ষেত্রে গভীর শ্বাস পর্যাপ্ত অক্সিজেন গ্রহণে সহায়তা করে।

ক্লান্তি দূর করে: অক্সিজেনের অভাবে শরীরে ক্লান্তি অনুভূত হয়। গভীর শ্বাস নিলে ক্লান্তি দূর হয়।

কর্মদক্ষতা বাড়ায়: একটানা কাজ করতে করতে আপনি হাঁপিয়ে উঠেছেন। আর পারছেন না। এক্ষেত্রে কাজ থেকে একটু উঠে গভীর শ্বাস নিন। দেখবেন কিছুক্ষণ পরই কাজ করার এনার্জি পাচ্ছেন।

সজাগ থাকতে সহায়তা করে: গভীর শ্বাস নিলে মস্তিষ্ক হালকা থাকে। ফলে চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কে সজাগ থাকা যায়।

বিষন্নতা দূর করে: মন ভীষণ বিষন্ন হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে গভীর শ্বাস নিন। দেখবেন মন থেকে অনেকটা বিষন্নতা দূর হয়ে গেছে।

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর