২৪ মার্চ, ২০১৮ ০১:২৬

৬ ইঞ্চি মোমিতে বিজ্ঞানীদের বিস্ময়

অনলাইন ডেস্ক

৬ ইঞ্চি মোমিতে বিজ্ঞানীদের বিস্ময়

মাত্র ৬ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের মোমি করা একটি কঙ্কাল খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। চিলিতে মেলা ওই কঙ্কাল  কোনো নবজাতকের মোমি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যদিও কোনো নবজাতক এতটা ছোট হওয়ার কথা নয়। ভ্রূণের দৈর্ঘ্য এমনটা হতে পারে। কিন্তু প্রাথমিক পরীক্ষায় বোঝা গেছে, বাচ্চাটির বয়স ৬-৮ দিনের হতে পারে। মোমিটির বিস্ময়কর বৈশিষ্ট্য এর আদি ও মৌলিক পরিচয় জানতে বিজ্ঞানীদের আগ্রহী করে তুলেছে। 

ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়, কঙ্কালের বয়স এবং অন্যান্য ব্যতিক্রম বিষয়গুলো ঘটেছে হয়তো জেনেটিক মিউটেশনের কারণে। এ মোমিকে নিয়ে যে গবেষণা করা হয়েছে তা প্রকাশ পায় 'জেনোম রিসার্চ' জার্নালে। 

কঙ্কালটির উচ্চতা অবিশ্বাস্যভাবে খর্বকায়। এর বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য একেবারেই ভিন্ন। বিশেষ করে এর অনাকাঙ্ক্ষিত আকৃতির পাঁজরের হাড় এবং কোণ আকৃতির করোটি সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। 

এই দেহাবশেষ লা নোরিয়া শহরের এক পরিত্যক্ত নাইট্রেট খনিতে পাওয়া যায়। সেখান থেকে তা স্পেনের এক ব্যক্তিগত সংগ্রহশালায় চলে যায়। 

ধারণা করা হচ্ছে, আতাকামা অঞ্চলে মেলা এই দেহাবশেষ হয়তো কোনো মানুষের ছিল না। 'সিরিয়াস' নামের এক ডকুমেন্টরিতে একে পৃথিবীতে এলিয়েনের আসার প্রমাণ হিসেবেও তুলে ধরা হয়েছে। 

এর নাম দেওয়া হয়েছে 'আতা'। বিজ্ঞানীদের একটি দল কঙ্কালটির জেনোম পরীক্ষা করেছেন। কোষের নিউক্লিয়াস থেকে সংগৃহিত হয় জেনেটিক ব্লুপ্রিন্ট। এ পদ্ধতিতে মানুষের দেহ পরীক্ষা করা হয়। এতে প্রমাণ মেলে আতা ছিল কন্যাশিশু। তবে এই নবজাতক বিভিন্ন জেনেটিক মিউটেশনের মধ্যে দিয়ে বেড়ে ওঠে। বামনের বৈশিষ্ট্য, স্কোলিওসিস এবং কঙ্কাল ও পেশিতে অস্বাভাবিক গঠন নিয়ে জন্মগ্রহণ করে সে। 

ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইমিউনোলজির প্রফেসর গ্যারি নোলান বলেন, প্রথমেই যে বিষয়টি আমাদের বিস্মিত করেছে তা হলো নবজাতকের হাড়ের ঘনত্ব এবং আকৃতি। আপাতদৃষ্টিতে এগুলো পরিপক্ক হিসেবে প্রমাণ মিলেছে। 

তিনি আরও বলেন, হাড়গুলো পরিপক্কতা পেয়েছে। অথচ ওটা কোনো নবজাতকের দেহাবশেষ। এসব অস্বাভাবিকতার কারণে গবেষণা আরো জটিল ও আকাঙ্ক্ষিত হয়ে ওঠে। এ কারণে আমাদের ধারণা বদ্ধমূল হয়েছে যে, মিউটেটেড জিনের কারণেই এই শিশুটির এমন অবস্থা হয়েছে। 

নোলানের মতে, আতার হাড় নিয়ে আরো গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে। হয়তো এটা থেকে অনেক সমাধান বেরিয়ে আসবে। যাদের হাড় গঠনে সমস্যা থাকে তাদের জন্যে সমাধান হয়তো আতাই বের করে দেবে। 
সূত্র : বিবিসি

বিডি প্রতিদিন/২৪ মার্চ ২০১৮/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর