২৩ এপ্রিল, ২০১৮ ০২:০৪

পানি থেকে আর্সেনিক শুষে নেবে শ্যাওলা!

অনলাইন ডেস্ক

পানি থেকে আর্সেনিক শুষে নেবে শ্যাওলা!

প্রতীকী ছবি

আর্সেনিক (Arsenic)  ধূসর আভাযুক্ত সাদা রং বিশিষ্ট ভঙ্গুর প্রকৃতির একটি অর্ধধাতু বা উপধাতু। প্রকৃতিতে আর্সেনিক বিভিন্ন যৌগ আকারে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। মানবদেহ, সমুদ্র এবং মৃত্তিকায় যৎসামান্য আর্সেনিক বিদ্যমান। সাম্প্রতিক কালে মনুষ্যসৃষ্ট কার্যাবলি অধিকমাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় পরিবেশে আর্সেনিকের ঘনত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের বাতাস, মাটি ও পানি আর্সেনিক দূষিত হয়ে বিবিধ প্রকার মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করছে। আর আর্সেনিকের বিষে তিলে তিলে মরছে মানুষ। গ্রামগঞ্জে তো প্রায় মহামারী। 

প্রায় ১৫ বছর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্কবাণী হচ্ছে ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের পরিমাণ প্রতি লিটারে ১০ মাইক্রোগ্রামের উপর হলেই বিপদ আসন্ন। সেখানে কোনও কোনও জায়গায় তা ৫০ মাইক্রোগ্রামের উপরেও রয়েছে। 

এমন পরিস্থিতিতে একটা গবেষণা খুলে দিচ্ছে নতুন পথ। চেনাচ্ছে বাঁচার ঠিকানা। সামান্য জলজ মস কাটিয়ে দেবে বিষ। শুদ্ধ করবে জল।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এ আবিষ্কার করেছেন। সুইডেনের উত্তরাঞ্চলে একধরনের 'অ্যাকুয়াটিক শেওলা' পেয়েছেন যা খুব দ্রুত আর্সেনিক শুষে নেয়। পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই শেওলা এক ঘণ্টায় ৮২ শতাংশ আর্সেনিক ও বিষাক্ততা শুষে নেয়।

স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষক দলের প্রধান মারিয়া গ্রেগরি বলেন, 'আমরা আশা করি এই উদ্ভিদভিত্তিক এই আদ্রতা পদ্ধতি আবিষ্কারের ফলে সুইডেনের ওই অঞ্চলের আর্সেনিক সমস্যার সমাধান হবে। 

সুইডেনের একটি অঞ্চলে এই মস ব্যবহার করে তাঁরা ফলও পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

বিডিপ্রতিদিন/ ই-জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর