২১ মে, ২০১৮ ১০:৫৬

আইনভঙ্গ করে ১২ বছর পর জন্ম হল শিশুর!

অনলাইন ডেস্ক

আইনভঙ্গ করে ১২ বছর পর জন্ম হল শিশুর!

ব্রাজিলের প্রত্যন্ত একটি দ্বীপের বাসিন্দারা ১২ বছর পর কোনো শিশুর জন্মকে উদযাপন করেছে। আইনগতভাবে ফার্নান্দো দে নরোনহা নামের সেই দ্বীপটিতে শিশুর জন্ম নিষিদ্ধ। সেই আইন ভঙ্গ করেই শনিবার কন্যা শিশুটির জন্ম দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট পরিবার জানিয়েছে, গর্ভধারনের বিষয়টি তারা জানতেন না। দ্বীপবাসী তো বটেই, শিশুর জন্মে তার বাবা-মাই চমকে গেছে। 

দ্বীপের বাসিন্দা মোটে তিন হাজার। তবে দ্বীপটি ভিন্ন একটি কারণে আগে থেকেই পরিচিত ছিল। সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক জীব-বৈচিত্র্যের কারণে এই দ্বীপটি ২০০১ সাল থেকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় রয়েছে। বিরল উদ্ভিদ এবং জীবজন্তু সমৃদ্ধ দ্বীপটি একটি সংরক্ষিত অঞ্চল। 

দ্বীপটিতে সন্তান প্রসব নিষিদ্ধ থাকায় এতদিন দ্বীপটির ভূখণ্ডে কোন শিশুর জন্ম হয়নি। সেখানে হঠাৎ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ২২ বছর বয়সী এক নারী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই নারী বলেন, তিনি জানতেনই না যে তিনি গর্ভবতী।

এই সন্তানের জন্ম দিয়ে তিনি এক অর্থে আইন অমান্য করেছেন। তবে সেটা নিয়ে কর্তৃপক্ষ বা দ্বীপের বাসিন্দা কেউই ভাবছেন না।
বরং সবাই তাকে সহায়তা করছেন। শিশুর জন্য দরকারি জিনিসপত্র ও কাপড় কিনে দিচ্ছেন।

ফার্নান্দো দে নরোনহা দ্বিপটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যেও পরিচিত। দ্বীপটিতে সন্তান প্রসব নিষিদ্ধ কারণ, সেখানে একটা মাত্র হাসপাতালে মায়েদের প্রজনন স্বাস্থ্য বিভাগ নেই। তাই গর্ভবতীদের দ্বীপের বাইরের কোন হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।কোন ধরনের জটিলতা তৈরি হওয়ার ভয়ে সেখানে প্রসবের ওপরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।এই দ্বীপটি কোন পৌরসভা বা প্রশাসনের অধীনে নেই। যা আধুনিক বিশ্বে বিরল।

দ্বীপটিতে রয়েছে সুন্দর সমুদ্র সৈকত। যার অনেকগুলো বিশ্বের মধ্যে সবচাইতে অতুলনীয় বলে খেতাব পেয়েছে। রয়েছে ডলফিন, তিমি, বিরল পাখি আর কচ্ছপ সহ আরো নানা প্রাণীর সংরক্ষণ। এসব প্রাণী সংরক্ষণের জন্যেও দ্বীপটিতে জনসংখ্যা কম রাখার ব্যাপারে সরকারি চাপ রয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/২১ মে, ২০১৮/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর