১৪ জানুয়ারি, ২০১৯ ১০:১৭

ময়ূরের মতো পেখম মেলে নাচে যে মাকড়সা!

অনলাইন ডেস্ক

ময়ূরের মতো পেখম মেলে নাচে যে মাকড়সা!

ময়ূর নাকি মাকড়সা। মনভোলানো রঙ তার গায়ে। রামধনু রঙে রাঙা বললেও ভুল হবে না। মাকড়সা শুনলেই যারা বেশ ভয় পেয়ে যান, তারাও অবাক হবেন এই ছোট্ট প্রাণীটিকে দেখলে।

উজ্জ্বল রংয়ের ছোট্ট এই মাকড়সাদের বলা হয় ‘পিকক স্পাইডার’। একজন মানুষের বুড়ো আঙুলের নখের সমান।

উনিশ শতকে অক্টেভিয়াস পিকার্ড কেমব্রিজ নামের এক কীটতত্ত্ববিদ এই অদ্ভুত মাকড়সা আবিষ্কার করেন।

প্রকৃতি যেন তুলি দিয়ে ময়ূরের পেখম এঁকে দিয়েছে এই মাকড়সাগুলির শরীরে। তবে শুধুমাত্র পুরুষদের ক্ষেত্রেই রয়েছে রঙের বাহার, কেন জানেন?

সঙ্গিনীর মন জয় করার জন্য পুরুষ পিকক স্পাইডারের সৌন্দর্যই যথেষ্ট নয়, রীতিমতো কসরত করে নাচতে হয় তাকে।

এদের পেটের দুটো অংশ আছে যা এমন রঙিন। বিভিন্ন রকম অঙ্গভঙ্গি করে এরা রঙের বাহার সঙ্গিনীকে প্রদর্শন করে। তিন থেকে পাঁচ মিলিমিটার লম্বা ওই বিচিত্র মাকড়সার সাতটি নতুন প্রজাতির খোঁজ পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার একদল বিজ্ঞানী।

এখন পর্যন্ত পিকক স্পাইডারের ৪৮টি প্রজাতির খোঁজ মিলেছে। এদের বেশিরভাগেরই দেখা মেলে অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাংশে (কুইন্সল্যান্ড ও নিউ সাউথ ওয়েলস প্রদেশে)। তবে এই খুদে মাকড়সাদের খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। কারণ লাফিয়ে লাফিয়ে দ্রুত জায়গা বদল করে এরা।

নাচুনে মাকড়সাগুলো মানুষের জন্য মোটেও ক্ষতিকর নয়। এরা সুন্দর, রঙিন এবং আকর্ষণীয়। কেউ কেউ আবার অন্য মাকড়সার সঙ্গে লড়াই করার সময়ে এই রঙের মাধ্যমে ভয় দেখাতে চায়।

মনের মতো নাচ দেখিয়ে স্ত্রী মাকড়সার মন ভোলাতে না পারলে প্রাণটাই দিতে হয় তাকে। কারণ, সঙ্গিনী মাকড়সাটি তখন আস্ত খেয়ে ফেলে পুরুষ মাকড়সাটিকে। তবে এই পুরুষ মাকড়সার গায়ের এই রঙের কারণও বেশ অদ্ভুত।

কোনও ক্ষেত্রে বিশেষ রঞ্জকের উপস্থিতির জন্যই এই রঙ। আবার নীল রঙের ক্ষেত্রে বিশেষ করে একটা ‘ন্যানো স্ট্রাকচার’ থাকে, যেটি মাকড়সার শরীরে চ্যাপ্টা থলের মতো আঁশের মধ্যে থাকে, সেটি আস্ত একটা যন্ত্র হিসাবে কাজ করে। ওই যন্ত্রটি বিশেষ রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্যকে প্রতিফলিত করে।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর