১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১৩:০৯

কফিও ওজন কমায়

অনলাইন ডেস্ক

কফিও ওজন কমায়

সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ কফি না পেলে যেন আলসে ভাবটা থেকেই যায়। আবার অনেকের কফি ছাড়াা ঘুমই ভাঙে না। তবে কফি যে কেবল চাঙাই করে তা নয়, পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। চলুন জেনে নিই এ সংক্রান্ত নতুন কিছু সমীক্ষা।

কফি রুচি কমায়

গ্রিসের এথেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৩৩জন নারী-পুরুষ নিয়ে একটি সমীক্ষা করা হয়। অংশগ্রহণকারীদের সকালের নাস্তায় একদিন কফি দেয়া হয়, আরেকদিন কফি বাদ রাখা হয়। তবে কফি পান করার পর তারা সেদিন শুধু দুপুরের খাবারই শুধু নয়, পুরো দিনই কিছুটা কম ক্যালরি গ্রহণ করেছেন। এর কারণ হিসেবে গবেষকরা বলছেন, কফির তেতো উপাদান নাকি খিদে কমায়।

এনার্জি বাড়ায়

গত কয়েক বছরে নিউ ইয়র্কে কফি নিয়ে কয়েকটি গবেষণা করা হয়। এসবের ফলাফল থেকে বেশ স্পষ্টভাবেই বোঝা গেছে যে, কফি পানের মাধ্যমে শরীর ক্যালরি গ্রহণ করে কম এবং ক্ষয় করে বেশি। তবে তা সত্ত্বেও এনার্জি বাড়ায়।

অস্ট্রেলিয়ার সমীক্ষা

কফির একটি নতুন উপাদান খুঁজে পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পার্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। তারা জানান, কফির ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড শরীরের কিছু হজম এনজাইমকে দমন করে। ফলে শরীর চিনি এবং ফ্যাট কম গ্রহণ করে। তবে তারা এ-ও জানান যে, অতিরিক্ত কফি পানের ফল উল্টোও হতে পারে।

জার্মানির সমীক্ষারও একই ফলাফল

কফি ওজন বাড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে বা ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। জার্মানিতে ৫০০ মানুষকে নিয়ে করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, কফি পানের পর শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে শরীরে বাড়তি ফ্যাট বা চর্বি সহজে পুড়ে শরীরকে স্লিম রাখতে সহায়তা করে।

যেমন মনটা করতে পারেন

সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায় ব্ল্যাক কফি, অর্থাৎ দুধ এবং চিনি ছাড়া কফি পান করলে। দিনে দুই থেকে তিন কাপ কফিই যথেষ্ট। খাওয়ার আগে কফি পান করলে খিদে কমে। সবচেয়ে ভালো হয় সকালের নাস্তায়, দুপুরে খাওয়ার পর এবং বিকেলে এককাপ কফি পান করলে। তবে বিকেলে কেক, বিস্কুট ছাড়া শুধু এক কাপ গরম কফি পান করা ভালো।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর