ঘটনাটি ঘটেছে ভারতে আসাম প্রদেশে। সেখানকার করিমগঞ্জের একটি স্কুলে এক ছাত্রীকে ক্লাস রুমেই আপত্তিকর ভিডিও দেখানোর অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা জানতে পেরে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন স্থানীয় জনতা। এরপর তারা স্কুলে অগ্নিসংযোগ করে তা জ্বালিয়ে দেন।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ‘যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা’ আইনে একটি মামলা হয়েছে।
এদিকে, বিক্ষুব্ধ জনতা যে স্কুলটি পুড়িয়ে দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও অগ্নিকাণ্ড ঘটানোর মামলা হয়েছে।
শিক্ষার্থীকে পর্ন ভিডিও দেখানো ওই ৩৭ বছর বয়সী শিক্ষককে আটক করতে অভিযান চলছে। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে।
করিমগঞ্জ পুলিশের এসপি পার্থ প্রতীম দাস জানিয়েছেন, গত ১২ আগস্ট করিমগঞ্জের একটি সরকারি স্কুলে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ছাত্রীর পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, প্রথমে সে বিষয়টি বাড়িতে জানাতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে মাকে জানায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাকে পর্ন ভিডিও দেখতে বাধ্য করেছে এবং ওই সময় তার শরীরে স্পর্শ করেন তিনি।
এর আগে গত ১৪ আগস্ট দেশটির কর্ণাটকের কালাবুরাগি বিভাগের একটি স্কুলে ১১ বছর বয়সী ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান এক শিক্ষক। এ ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নিমবার্গ থানার একটি সরকারি স্কুলে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভি
বিডি প্রতিদিন/একেএ