বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষের খেতাব অর্জন করেছেন যুক্তরাজ্যের জন টিনিসউড। তিনি আজ ১১২ বছর বয়সে পা রেখেছেন। ১৯১২ সালের ২৬ আগস্ট লিভারপুলে জন্মগ্রহণ করা এই মানুষটি জীবনের এত লম্বা সময় কীভাবে পার করেছেন, তা তার নিজের কাছেই এক রহস্য। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষকে তিনি বলেছেন, দীর্ঘায়ুর পেছনে কোনো বিশেষ কৌশল বা গোপন রহস্য নেই, বরং এটি সম্পূর্ণ ভাগ্যের ওপর নির্ভরশীল।
টিনিসউডের জীবনের পথচলা শুরু হয়েছিল সেই সময়ে, যখন পৃথিবী নতুন এক শতাব্দীতে প্রবেশ করেছিল। টাইটানিকের ডুবে যাওয়ার বছরে জন্ম নেওয়া টিনিসউড নিজের দীর্ঘ জীবনকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়েছেন। তিনি লিভারপুল ফুটবল ক্লাবের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে বলেছেন। ক্লাবটির প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পর তার জন্ম হলেও, তিনি ক্লাবটির বেশিরভাগ ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছেন।
তরুণ বয়সে সক্রিয় জীবনযাপন করলেও, বর্তমানে তিনি সাউথপোর্টের একটি বৃদ্ধাশ্রমে থাকেন। তার স্ত্রী ব্লডওয়েনের সঙ্গে ৪৪ বছরের সুখী দাম্পত্য জীবন কাটিয়ে তিনি ১৯৮৬ সালে বিধবা হন। তাদের একমাত্র কন্যা সুজান ১৯৪৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
তার কর্মজীবনও ছিল সমৃদ্ধ; দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আর্মি পে কর্পে প্রশাসক হিসেবে কাজ করার পর, যুদ্ধশেষে তিনি শেল ও বিপি কেম্পানিতে হিসাবরক্ষক হিসেবে চাকরি করেন। ১৯৭২ সালে অবসর নেওয়ার পর তিনি সাধারণ জীবনযাপন করেছেন, কোনো বিশেষ খাদ্যাভ্যাস বা স্বাস্থ্যচর্চা ছাড়াই।
জীবনের শততম জন্মদিনের পর থেকে তিনি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছ থেকে প্রতি বছর জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তা পেতেন। এখন রাজা তৃতীয় চার্লস তাকে রশুভেচ্ছাবার্তা পাঠানো অব্যাহত রেখেছেন। ইতিহাসের সাক্ষী টিনিসউডের জীবনে যুদ্ধ, রাজনীতি, ফুটবল এবং পারিবারিক জীবনের এমন অসংখ্য স্মৃতি রয়েছে যা তাকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘায়ু মানুষ ছিলেন জাপানের জিরোইমন কিমুরা। তিনি ১১৬ বছর বয়সে মারা যান। বর্তমানে সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ হিসেবে জাপানের তোমিকো ইতোকা রয়েছেন, যিনি ১১৬ বছর বয়সে জীবিত আছেন। সূত্র : স্কাই নিউজ
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল