মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা
বাণিজ্যমন্ত্রীকে বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি

পোশাক খাতের বাইরেও অনেক সম্ভাবনা বাংলাদেশের

পোশাক খাতের বাইরেও অনেক সম্ভাবনা বাংলাদেশের

পোশাকশিল্পের বাইরেও বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি জোহানেস জাট। তিনি গতকাল বিকালে সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সম্ভাবনার কথা জানান। জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বিশ্বব্যাংকের আরও বেশি সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত। পদ্মা সেতু নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি থাকলেও ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাংক সেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

বর্তমান সরকার গঠনের পর বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধির এটিই ছিল প্রথম বৈঠক। এ সময় মন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধা স্থগিতাদেশ এবং দেশটির দেওয়া কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয়গুলোও তুলে ধরেন। মন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সব শর্ত পূরণ করা হলেও তারা আমাদের জিএসপি সুবিধা দিচ্ছে না। অথচ আফ্রিকার সাব সাহারা, ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশগুলো ওই সুবিধা পাচ্ছে। জবাবে জোহানেস জাট বলেন, এটি এক দিক থেকে ভালোই হচ্ছে। বাংলাদেশের পোশাক খাতের প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা বাড়ছে। এ সময় জাট হাস্যচ্ছলে বলেন, 'আমি কিন্তু মার্কিনি নয়, আমি ডাচ।'

বিশ্বব্যাংকের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, তৈরি পোশাক বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত হলেও এর বাইরে আরও অনেক রপ্তানি শিল্প রয়েছে যেগুলোর সম্ভাবনাও কোনো অংশে কম নয়। কোনো একটি খাতের ওপর নির্ভর না করে সরকারের রপ্তানি বহুমুখীকরণের দিকে নজর দেওয়া উচিত। সম্ভাবনাময় খাতগুলোর মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, পাট ও পাটজাত পণ্য, শিপ বিল্ডিং এবং আইটি (তথ্যপ্রযুক্তি) খাতের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, প্রতি বছর দেশের বাজারে ২০ লাখ শ্রমিক ঢুকছে। এদের কর্মসংস্থান কীভাবে সৃষ্টি হবে সেটি সরকারকে ঠিক করতে হবে। রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণের মধ্য দিয়ে সেটি সম্ভব বলে মনে করেন বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি। বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে সাম্প্রতিক অস্ট্রেলিয়া সফরে তার অভিজ্ঞতা নিয়েও কথা বলেন। মন্ত্রী জানান, এখানকার শ্রম পরিবেশ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার যে ভুল ধারণা ছিল সেটি কেটে গেছে। দেশটির ক্রেতারা বাংলাদেশের পোশাক নেওয়ার ব্যাপারে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াতে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ৫০০ মিলিয়ন ডলার হলেও আগামী ৩ থেকে ৪ বছরে এটি বেড়ে ২ থেকে ৩ হাজার মিলিয়নে পৌঁছবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। আগামী ডিসেম্বরে বিএনপি রাজনৈতিক আন্দোলনের যে হুমকি দিয়েছে এবং এর ফলে অর্থনীতিতে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সেটি কীভাবে মোকাবিলা করবে সরকার?- এমন প্রশ্নের উত্তরে তোফায়েল আহমেদ বলেন, শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক আন্দোলন তারা করতেই পারে। কিন্তু যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের মতো ধ্বংসাত্মক আন্দোলনে গেলে সরকার সেটি মোকাবিলা করবে। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা নষ্ট হলে সেটি দেখার দায়িত্ব সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করবে।

 

 

 

সর্বশেষ খবর