বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

ব্যাংক বীমার কেনাকাটাও হবে ই-টেন্ডারে

রুকনুজ্জামান অঞ্জন

ব্যাংক বীমার কেনাকাটাও হবে ই-টেন্ডারে

সরকারের কেনাকাটায় অনিয়ম ও দুর্নীতি কমাতে যে ই-টেন্ডার প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে বলা হয়েছে, এখন থেকে তা সরকার মালিকানাধীন সব ধরনের ব্যাংক-বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকেও অনুসরণ করতে হবে। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে এক সভায় এ ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সূত্রগুলো জানায়, গত বছরের জানুয়ারিতে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারি প্রতিষ্ঠানের কেনাকাটায় ই-টেন্ডার প্রক্রিয়া চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও নিজস্ব সার্ভার সিস্টেম না থাকায় বেশির ভাগ ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এখনো ই-টেন্ডারিং কার্যক্রম শুরু করেনি। পরে ১৯ জানুয়ারি সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করেন ব্যাংকিং বিভাগের অতিরিক্ত সচিব গোকূল চাঁদ দাস।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোকূল চাঁদ দাস বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অধীনে যেসব ব্যাংক-বীমা আর্থিক প্রতিষ্ঠান এখনো ই-টেন্ডারিং প্রক্রিয়া চালু করেনি তাদের অবিলম্বে এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। যাদের নিজস্ব সার্ভার রয়েছে তারা ওই সার্ভারের মাধ্যমে ই-টেন্ডার কার্যক্রম চালাবে। আর যাদের নিজেদের সার্ভার নেই তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের সেন্ট্রাল প্রকিউরম্যান্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) সহায়তায় এই প্রক্রিয়ায় কেনাকাটা করবে।’ সূত্র জানায়, বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সর্বমোট ২৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭টি প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে ই-টেন্ডার প্রক্রিয়া চালু করেছে। তবে ১৯টি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব সার্ভার না থাকায় এখনো ওই প্রক্রিয়ায় যেতে পারেনি। বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড়াও সাধারণ বীমা করপোরেশন, সোনালী, জনতা, অগ্রণী ব্যাংক, বিডিবিএল, কর্মসংস্থান ব্যাংক ইতিমধ্যে ই-টেন্ডারিং প্রক্রিয়া চালু করেছে। জানা গেছে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত অন্যান্য সংস্থা ও ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী (মাইক্রোক্রেডিট) সংস্থাগুলোকেও একই পদ্ধতি অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকিং বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ই-টেন্ডারিং প্রক্রিয়া চালু করার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান আগ্রহী। তবে সরকারের যে সেন্ট্রাল প্রকিউরম্যান্ট টেকনিক্যাল ইউনিট সিস্টেম রয়েছে তার মাধ্যমে এই মুহূর্তে রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকে সংযোগ প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য যাদের নিজেদের সার্ভার রয়েছে তারা ওই সার্ভার ব্যবহার করে ই-টেন্ডারিং প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে। পরবর্তীতে সিপিটিইউ-এর সার্ভারের সক্ষমতা বাড়ানো হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে এর আওতায় আনা হবে।

বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়, বিদ্যমান ই-গভর্নমেন্ট প্রকিউরম্যান্ট পোর্টাল সিস্টেমটি সরকারের ক্রয়কারী সংস্থা (পিএ) এবং ক্রয়কারীর (পিই) কার্যক্রম সম্পাদনের একটি অনলাইন প্লাটফর্ম। ই-জিপি সিস্টেমটি সিপিটিইউতে স্থাপিত ডাটা সেন্টারে ধারণ করা হয়েছে। এই সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশনের জন্য ৯টি ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আবেদন ইতিমধ্যে গৃহীত হয়েছে। তবে সিপিটিইউর সার্ভারের ধারণ ক্ষমতা বাড়ানো হলে পর্যায়ক্রমে সব প্রতিষ্ঠানকে ই-জিপি সিস্টেমে সংযোগ প্রদান করা হবে।

সর্বশেষ খবর