বুধবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা
বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক

চীনের বিনিয়োগ চায় ডিসিসিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক

চীনের বিনিয়োগ চায় ডিসিসিআই

বাংলাদেশের বিশাল শ্রম বাজারের সুযোগ নিয়ে চীনের উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ীদের আরও বেশি হারে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছে প্রাচীন বাণিজ্য সংগঠন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি—ডিসিসিআই। ঢাকায় সফররত চীনের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে ডিসিসিআই আরও বলেছে, বাংলাদেশ যে ১০০টি নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে তৈরি পোশাক, টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যাল, পাট ও পাটজাত পণ্য, সিরামিক, চামড়া, তথ্য-প্রযুক্তি ও পাদুকা শিল্পে বিনিয়োগের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে চীনা ব্যবসায়ীদের। গতকাল মতিঝিলের চেম্বার ভবনে ডিসিসিআই ও সফররত চীনের গুয়াংডন প্রদেশের ১৪ সদস্য বিশিষ্ট বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের মধ্যকার মতবিনিময় সভা ঢাকার ব্যবসায়ী নেতারা এসব কথা বলেন। এতে চীনা ব্যবসায়ী দলের নেতৃত্ব দেন চায়না কাউন্সিল ফর দি প্রমোশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অব ঝাওকিং সিটির মহাপরিচালক লিউ ফাং। স্বাগত বক্তব্য দেন ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদ। আরও বক্তব্য দেন ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি হুমায়ুন রশিদ, সহসভাপতি খ. আতিক-ই-রাব্বানী, পরিচালক আসিফ এ চৌধুরী, সেলিম আকতার খান, সাবেক সহসভাপতি হোসেন এ সিকদার, এম আবু হোরায়রা, ডিসিসিআই মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবির প্রমুখ। ওই মতবিনিময় সভায় ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদ বলেন, বাংলাদেশ গত ১৫ বছর যাবৎ ৬ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। প্রতিবছর বাংলাদেশ ৩ মিলিয়ন লোক কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিবছর বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের জাহাজ নির্মিত হচ্ছে। জাহাজ ভাঙা শিল্পে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। যেখানে চীন প্রথম অবস্থানে রয়েছে। এ সুযোগে তিনি জাহাজ ভাঙা শিল্পে পরিবেশগত ঝুঁকি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে চীনের ব্যবসায়ীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ, নতুন নতুন পণ্য ও বাজারের খুঁজে বের করার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। চীনের প্রতিনিধি দলের প্রধান লিউ ফাং বলেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। যা ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত হবে। তিনি চলতি বছরের অক্টোবরে চীনের গুয়াংডন প্রদেশে ‘মেরিটাইম সিল্ক রোড ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো’তে ঢাকা চেম্বারের সদস্যদের পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে আহ্বান জানান। এতে চীনের বাজারে আরও বেশি বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে বলেও মনে করেন লিউ ফাং।

সর্বশেষ খবর