বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ব্যবসার অন্যতম লক্ষ্য সেবা

কাজী জামিল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, লটো

আলী রিয়াজ

ব্যবসার অন্যতম লক্ষ্য সেবা

এমন পরিবেশ থাকলে দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশ আরও উন্নত হবে বলে আমি মনে করি। অবৈধ টাকা দিয়ে যারা অবৈধ ব্যবসা করেন তাদের সমস্যা তো হবে। আমাদের পদ্ধতি হচ্ছে স্ট্রং লট অব ফান

বাংলাদেশের অগ্রসরমান চেইন শপের অন্যতম লটো। সাম্প্রতিক সময়ে তরুণদের পছন্দের ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে নতুন এই প্রতিষ্ঠানের পণ্য। তাই দ্রুত দেশের উপজেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে গেছে লটো। চমৎকার ডিজাইন, আন্তর্জাতিকমানের পোশাক, জুতা থেকে শুরু করে সব ধরনের স্পোর্টস পণ্য, পানির বোতল, ইউনিফরমসহ লাইফ স্টাইলের আট শতাধিক পণ্যের বিশাল সমাহার নিয়ে সব বয়সী গ্রাহকের কাছে পৌঁছে গেছে। ২০১১ সালে ঢাকার উত্তরায় মাত্র একটি শোরুম দিয়ে শুরু করে পাঁচ বছরে সারা দেশে এখন ১৪০টি প্রদর্শনী কেন্দ্র রয়েছে। এত দ্রুত সময়ে একটি ছোট্ট প্রতিষ্ঠান থেকে লাইফ স্টাইল চেইন শপের শীর্ষে চলে আসার পুরো সাফল্য একজন উদ্যোক্তার। তিনি কাজী জামিল ইসলাম। দুই সন্তানের জনক এই উদ্যোক্তা পেশা শুরু করেন চা বাগানের চাকরি দিয়ে। দেশের শীর্ষ স্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাকরি সুবাদে নিজের হাতে প্রতিষ্ঠা করেছেন একাধিক ব্র্যান্ড ও চেইন শপের। এক সময় নিজেই উদ্যোক্তা হয়ে উঠেন। গড়ে তোলেন আন্তর্জাতিকমানের লাইফ স্টাইল চেইন শপ লটো। দ্রুত প্রসারিত লটোর সাফল্য নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের মুখোমুখি হয়েছিলেন এই ব্যবসায়ী। সম্প্রতি টঙ্গীতে অবস্থিত নিজ অফিস কার্যালয়ে কথা হলো তার সঙ্গে। ব্যবসার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রথমেই তিনি বললেন, মুনাফার উদ্দেশ্য থাকলে তা দিয়ে ব্যবসার প্রসার বা বৃদ্ধি করা যায়। কিন্তু সেবা হয় না। ব্যবসা একটি সেবাখাত। তাই সেবা উদ্দেশ্য হলে মুনাফা হবে পলিসি। পলিসির কারণেই মুনাফা আসবে। তিনি বলেন, যে কোনো পণ্য যখন একজন গ্রাহক ক্রয় করেন সেটি থেকে তিনি রিওয়ার্ড চাইবেন। অর্থাৎ মূল্যের সঙ্গে ওই পণ্যের ব্যবহার কালের সামঞ্জস্য। এটাই পণ্যের মান। আমি যখন ব্যবসা শুরু করি তখন দেখলাম দেশে আন্তর্জাতিক মানের কোনো লাইফ স্টাইল পণ্যের প্রতিষ্ঠান নেই। যা আছে সেটা আমদানি করা পণ্য। সম্পূর্ণ দেশীয় উৎপাদনের মাধ্যমে লটোর যাত্রা শুরু। কাজী জামিল বলেন, পেশা শুরু করেছিলাম চা বাগানে চাকরি দিয়ে। সেখানে একটি কালচার আছে। বাগানে ঘোরার জন্য আলাদা জুতা থাকে। কর্মকর্তারা যখন বাগান ঘুরে বাংলোয় ফেরে তখন একজন কর্মচারী জুতা খুলে দেয়। এটা একদিন সেখানে বেড়াতে যাওয়া আমার বাবা দেখল। তিনি এটা মেনে নিতে পারলেন না। বললেন মানুষ আরেক মানুষের জুতা খুলে দেবে কেন? এই চাকরি করা যাবে না। সেদিনই চাকরি ছেড়ে দিলাম এবং প্রতিজ্ঞা করলাম এই পাপের প্রতিদান হিসেবে একদিন দেশের সবার পায়ে আমি জুতা পরিয়ে দেব। আজ সেটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। হয়তো ভিন্নভাবে। তবে মানসিক প্রশান্তি হিসেবে বলতে পারি সারা দেশে লটোতে প্রায় ৮০০ লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। এর সঙ্গে দেশে উৎপাদিত বিশ্বমানের পণ্য সবার কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। চেইন শপ লটোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ২০১১ সালে উত্তরায় প্রায় শূন্য হাতে শুরু করেছিলাম। ছয় মাসের মধ্যে চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনাসহ ৭টি শাখা খুলেছি। আমাদের পণ্য ও কমিটমেন্ট এতটাই যে সব মানুষ আস্থা রেখেছে। যার ফল এখন পাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ৬০টি প্রদর্শনী কেন্দ্র সরাসরি পরিচালনা করছি, ৮০টি ফ্রাঞ্চাইজি। ব্যবসাা রকেটের মতো। গ্যাসীয় আগুন থাকলে উড়োজাহাজের চেয়ে বেশি দৌড়াবে।

সর্বশেষ খবর