বুধবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা
একনেকে তিন হাজার ২৮৯ কোটি টাকার ৮ প্রকল্প অনুমোদিত

এডিপি বাস্তবায়নে গতি বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

এডিপি বাস্তবায়নে গতি বেড়েছে

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হার কিছুটা বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৪৫ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪৪ শতাংশ। টাকার অংকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার এডিপি বেশি বাস্তবায়ন হয়েছে। গত অর্থবছরে জুলাই-মার্চ প্রান্তিকে ৪১ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকার এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছিল। এবার ব্যয় হয়েছে ৫৩ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)র সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে পরিকল্পনা কমিশন থেকে যে পরিমাণ সংস্কার করার প্রয়োজন তা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে প্রয়োজনে আরও সংস্কার আনার কথাও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় ৩ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, অনুমোদিত ৮ প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে ২ হাজার ৪১২ কোটি টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৩৫ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে আসবে ৮৪২ কোটি টাকা। একনেকে গতকাল কুমিল্লা, খুলনা ও রংপুর বিভাগের আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোকে আরও প্রশস্ত করতে আলাদা তিনটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে কুমিল্লাজোনের প্রকল্পটির মাধ্যমে কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন উপজেলার মধ্যে ১৬৮ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ককে যথাযথ মানে উন্নীতকরণের পাশাপাশি প্রশস্তকরণ করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৪৭৬ কোটি টাকা। খুলনাজোনে খুলনা অঞ্চলের চার জেলার ১২৬ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ককে যথাযথ মানে উন্নীতকরণ ও প্রশস্তকরণ করা হবে। এ প্রকল্পটির মাধ্যমে খুলনা সদর ও ডুমুরিয়া, বাগেরহাট সদর, ফকিরহাট, কচুয়া ও মোড়েলগঞ্জ, সাতক্ষীরা সদর ও তালা এবং কুষ্টিয়া সদর, কুমারখালী ও খোকসা উপজেলার মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ নিশ্চিত করা হবে। এ প্রকল্পটি ২০১৯ সালের মধ্যে প্রায় ৬০০ কোটি টাকায় বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া রংপুরজোনে প্রকল্পটির মাধ্যমে বগুড়া, জয়পুর হাট, গাইবান্ধা এবং ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১০৫ কিলোমিটার সড়ক যথাযথ মানে উন্নীত করনের পাশাপাশি প্রশস্ত করা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৫৯৮ কোটি টাকা।

অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে, ‘উপকূলীয় শহর পরিবেশগত অবকাঠামো প্রকল্প (১ম সংশোধিত)’, ‘রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উন্নয়ন প্রকল্প’, ‘কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামড়াঘাট- মিঠামইন সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প’, ‘বরিশাল মেট্রোপলিটন ও খুলনা জেলা পুলিশ লাইন নির্মাণ প্রকল্প’ এবং ‘ময়মনসিংহ ও গোপালগঞ্জে দুটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ১০ কিলোওয়াট এফএম বেতার কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প’।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ভবিষ্যতে সারা বাংলাদেশের পুলিশের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বড় পরিসরে একটি প্রকল্প গ্রহণ করার জন্য বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে ধাপে ধাপে ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। বৈঠকে সরকারের সব কর্মচারীর জন্য শতভাগ আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করার ইচ্ছাও প্রধানমন্ত্রী পুনর্ব্যক্ত করেছেন বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

সর্বশেষ খবর