বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
করফাঁকি ধরতে অভিযান

নগদ পুরস্কারের নির্বাহী আদেশ চায় কাস্টমস

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সিআইসি, ভ্যাট ও শুল্ক গোয়েন্দার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একই আদেশে বা একই ধরনের বিধিমালার আওতায় পুরস্কার প্রদান করা হলে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ও সরকারের প্রাপ্য রাজস্ব আহরণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে

রুহুল আমিন রাসেল

করফাঁকি উদঘাটনে সফল অভিযান পরিচালনার জন্য মাসিক ভিত্তিক নগদ অর্থ পুরস্কার চায় কাস্টমস। আর এ ধরনের প্রণোদনামূলক পুরস্কারের জন্য নির্বাহী আদেশের বিধান তৈরির প্রস্তাব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের কাস্টমস বিভাগ। এনবিআরের আয়কর বিভাগের কর গোয়েন্দারা নির্বাহী আদেশে এই সুবিধা পেয়ে আসছেন। কাস্টমস বিভাগ মনে করে, সরকারি নির্বাহী আদেশে নগদ অর্থ পুরস্কারের ব্যবস্থা করা গেলে এতে সংশ্লিষ্টরা সফল অভিযান পরিচালনায় উৎসাহিত হবেন। ভ্যাট ও কাস্টমসের গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়বে। এতে করফাঁকির ঘটনা বেশি করে উদঘাটিত হবে। ফলে একদিকে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে এবং রাষ্ট্রীয় রাজস্ব সুরক্ষিত হবে। একই সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে সহযোগিতা এবং সমন্বয় বাড়বে। এনবিআরের এক শীর্ষ কর্মকর্তার গোপনীয় প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। জানা গেছে, এনবিআরের কেন্দ্রীয় কর গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টিলিজেন্স সেল-সিআইসি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারের নির্বাহী আদেশে প্রতি মাসে প্রণোদনামূলক পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ পেয়ে থাকেন। তারই আলোকে ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর এবং শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের জন্য এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এনবিআর সদস্য (মূসক নিরীক্ষা ও গোয়েন্দা) খন্দকার মুহাম্মদ আমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়, এনবিআর নিয়ন্ত্রিত সিআইসি, ভ্যাট গোয়েন্দা ও শুল্ক গোয়েন্দা একই নিয়মনীতি অনুসারে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। সিআইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতি মাসে উদঘাটন হওয়া করফাঁকির বিপরীতে সন্তোষজনক পরিমাণে পুরস্কার (অর্থ) পেয়ে থাকেন, একটি নির্বাহী আদেশে। তবে কী পরিমাণ বা কোন হারে অর্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পান, সে তথ্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভ্যাট ও শুল্ক গোয়েন্দার পুরস্কার প্রদান করা হয় বিধিমালার আলোকে। এতে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অর্থাৎ করফাঁকির বিষয়টি প্রতিষ্ঠা এবং আদায় কার্যক্রম সম্পন্ন শেষে পুরস্কারের অর্থ পেতে ৩ থেকে ৫ বছর সময় লাগে। ফলে ভ্যাট ও শুল্ক গোয়েন্দার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা করফাঁকি উদঘাটনের কাজ স্বতঃস্ফূর্তভাবে শেষ করতে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েন। তাই ভ্যাট ও শুল্ক গোয়েন্দাকেও সিআইসির মতো নির্বাহী আদেশে পুরস্কারের অর্থ প্রদানের আওতায় আনার প্রস্তাব দিয়েছে এনবিআর।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সিআইসি, ভ্যাট ও শুল্ক গোয়েন্দার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একই আদেশে বা একই ধরনের বিধিমালার আওতায় পুরস্কার প্রদান করা হলে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ও সরকারের প্রাপ্য রাজস্ব আহরণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। পুরস্কারের টাকা দ্রুত পেলে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে সহযোগিতা এবং সমন্বয় বাড়বে। নিবিড় নিরীক্ষা পরিচালনার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় রাজস্ব সুরক্ষিত হবে। সমগ্র দেশব্যাপী ভ্যাট ও নিবারণমূলক তৎপরতা বাড়বে।

ভ্যাট ও শুল্ক গোয়েন্দার দৃশ্যমান অবদান আরও গতিশীল এবং ফলপ্রসূ হবে বলে মনে করে এনবিআর।

সর্বশেষ খবর