৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৮:৪২

'বিচারপতি শামসুদ্দিন আদালতকে বিতর্কিত করছেন'

অনলাইন ডেস্ক

'বিচারপতি শামসুদ্দিন আদালতকে বিতর্কিত করছেন'

ফাইল ছবি

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীকে 'বিচারবুদ্ধিহীন' মন্তব্য করে বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আপিল বিভাগের সাবেক এই বিচারক উচ্চ আদালতকে ‘বিতর্কিত’ করছেন।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে পাল্টা অভিযোগে তিনি বলেন, “তার কথা শুনলে মনে হবে কোনো কসাই কথা বলছে। একজন বোধ, বুদ্ধি, বিচার সম্পন্ন মানুষের কথা এটি নয়।''

প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার এক বছর পূর্তিতে গত ১৭ জানুয়ারি এক বাণীতে বিচারপতি এস কে সিনহা অবসরে যাওয়ার পর বিচারকদের রায় লেখাকে ‘সংবিধান পরিপন্থি’ বললে নানামুখি আলোচনার সূত্রপাত হয়।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ প্রধান বিচারপতির ওই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলেও বিএনপি নেতারা তাতে জোর সমর্থন দিয়ে বলে আসছেন, বিচারকের অবসরের পরে লেখা হওয়ায় তত্ত্বাবধায়ক বাতিলের রায়ও ‘অবৈধ’ প্রমাণিত হয়েছে।

এরমই মধ্যে বিচারপতি শামসুদ্দিন তার অবসরের পর লেখা রায় ও আদেশ জমা দিতে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে যান। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরা রায় লিখতে পারবে না… এই কথা বহু আগে খালেদা জিয়া বলেছিলেন। উনি (প্রধান বিচারপতি) খালেদা জিয়ার মুখপাত্র হয়ে বিএনপির এজেন্ডা চরিতার্থ করার জন্য এটা বলেছেন। উনার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে।”

এর প্রতিবাদ জানিয়ে রিজভী বলেন, “এই দেশে বৃটিশ আমল থেকে উচ্চতর আদালত এতো বিতর্কিত ও অশ্রেদ্ধয় হয়ে পড়েনি আর কখনো। একে বিতর্কিত করেছেন শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও খায়রুল হকরা।

তিনি বলেন, “আজ যখন তার নোংরা অপকর্মগুলো উদ্ভাসিত হচ্ছে, আজকে যখন মাননীয় প্রধান বিচারপতি আইনের পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে, আইনের শাসনের পক্ষে কথা বলছেন, তখন তিনি সহ্য করতে পারছেন না। পারছেন না বলেই এসব কথা বলছেন।”

বিচারপতি শামসুদ্দিনের উদ্দেশে রিজভী বলেন, “প্রধান বিচারপতি যদি খালেদা জিয়ার মুখপাত্র হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি কার মুখপাত্র ছিলেন? আপনি কার মুখপাত্র ছিলেন- এটা তো গোটা দেশবাসী জানে।”

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করীম শাহিন, কাজী আবুল বাশার, বেলাল আহমে, রফিক শিকদার উপস্থিত ছিলেন।

বিডি-প্রতিদিন/০৯ ফেব্রুয়ারি, ২১০৬/মাহবুব

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর