২৪ জুন, ২০১৬ ১৪:০৮

কমেছে রসুনের দাম

অনলাইন ডেস্ক

কমেছে রসুনের দাম

রমজানের শুরুতে বেশ কিছু ভোগ্য পণ্যের সঙ্গে বেড়েছিল পেঁয়াজ ও রসুনের দাম। তবে অনেকটা স্বাভাবিক ছিল সবজির বাজার। কিন্তু রোজার মাঝামাঝি এসে চিত্র একেবারে উল্টো। গত সপ্তাহ থেকে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম কমতে শুরু করে। যার ধারাবাহিকতা চলতি সপ্তাহেও লক্ষ্য করা গেছে। আলোচ্য সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম সামান্য কমলে‌ও কেজিতে ১০ থেকে ৩০ পর্যন্ত কমেছে রসুনের দাম।

কিন্ত চলতি সপ্তাহে হঠাৎ করেই পটল, বেগুন, ঢেড়স, টমেটো, গাজর, শিমসহ বেশকিছু সবজির দাম কেজি প্রতি ৫-১০ টাকা বেড়েছে।

বাজারে দেখা গেছে,  প্রতি কেজি  দেশি রসুনের দাম ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। আর আমদানি করা রসুন ১৯০ টাকা থেকে কমে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৩৮-৪০ এবং আমদানি করা মোটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা দরে।

তবে গত সপ্তাহের দামে স্থিতিশীল রয়েছে চাল, ডাল, মাছ, মাংস, তেলসহ বেশিরভাগ মুদি পণ্য।

 ফকিরাপুলসহ বেশকিছু খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে বিক্রি হওয়া ৩০ টাকা কেজির বেগুন আজ প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পটল, ঢেড়স, টমেটো, গাজর কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। বাজারে প্রতিকেজি পটল ৪০ টাকা, ঢেড়স ৪০ টাকা, গাজর ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ও গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে।

এর বাইরে অন্যান্য সবজি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে প্রতি কেজি করলা ৪০ টাকা, কাকরোল ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৪০ টাকা, ধুন্দল ৪০ টাকা, শশা ৩০-৪০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫০-৬০, আলু ২৫ টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা, বিক্রি হচ্ছে।এদিকে চলতি মৌসুমের না হওয়া শিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা।

এছাড়া কাঁচাকলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, প্রতিটি লাউ ৩৫-৪০ টাকা, চালকুমড়া ৩০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া প্রতি ফালি ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


মুদি পণ্যের মধ্যে দেশি মসুর ডাল প্রতি কেজি ১৪০ টাকা, আমদানি করা মোটা মসুর ডাল ১০৫-১১০ টাকা, ছোলা ৯০-১০০ টাকা, ছোলার ডাল ১১০ টাকা, ডাবরি বুটের ডাল ৫০ টাকা, ছোলার ডালের বেসন ১০০-১২০ টাকা এবং বুটের ডালের বেসন ৬০-৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।আদা ৬৫ থেকে ৮৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

ভোজ্য তেলের মধ্যে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৯২ টাকা,  পাম সুপার ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি ৫ লিটার পাওয়া যাচ্ছে ৪৪০ টাকা থেকে ৪৫৫ টাকার মধ্যে। সরিষার তেল মানভেদে প্রতি কেজি ১২০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চলতি সপ্তাহে মাছের বাজারে তেমন হেরফের হয়নি। বেশিরভাগ মাছই গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে। রুই মাছ প্রতি কেজি ৩৫০-৫৫০ টাকা, ছোট আকারের রুই ২৫০- ৩০০ টাকা, কাতলা ৪০০-৫৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২৪০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে। আকার ভেদে প্রতিকেজি গলদা চিংড়ি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, বড় শিং মাছ ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, দেশি মাগুর ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, বেলে মাছ ৫০০ টাকা, রূপচাঁদা ১০০০ টাকা, বাটা ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ফার্মের লাল ডিম প্রতি হালি ৩০ টাকা, দেশি মুরগি ও হাঁসের ডিম ৪০ থেকে ৪২ টাকা দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস। গরুর মাংস ৪২০ টাকায় ও খাসির মাংস ৫৭০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১৬৫-১৭০ টাকা; লেয়ার মুরগি ২০০-২১০ টাকা।

প্রতি কেজি মোটা চাল ৩২ টাকা; মিনিকেট ৪৬-৪৮ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৪২-৪৪ টাকা, পারিজা ৪২ টাকা, নাজির শাইল ৫০-৫৫ টাকা এবং লতা ৩৮-৪৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।


বিডি-প্রতিদিন/২৪ জুন ২০১৬/শরীফ

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর