২৫ জুলাই, ২০১৬ ১৬:১৯

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে আয় বেড়েছে ৪০ কোটি টাকা

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম:

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে আয় বেড়েছে ৪০ কোটি টাকা

লোকবল সংকট ও নানান সমস্যার মধ্যে থেকেও ভ্রমণ খাতে গত এক বছরে রেকর্ড পরিমান আয় করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আন্তঃনগর ও লোকাল ট্রেনের ঢাকা এবং চট্টগ্রাম বিভাগে ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে আয় হয়েছে ৪১৩ কোটি টাকা।  গত বছরের তুলনায় যা ৪০ কোটি টাকা বেশি। এটা শুধু পূর্বাঞ্চলের নয়, অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় রেলওয়ের দুই বিভাগে সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ডও এটি। এর আগে গত অর্থ বছরে আয় হয়েছিল ৩৭৩ কোটি টাকা।

দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, রেলের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বিশেষ নজর দেওয়া, নিয়মিত চেকিং, আয় বাড়নোর টার্গেটসহ বিভিন্ন মনিটরিংয়ের কারণে এ আয় করা সম্ভব হয়েছে। সর্বশেষ চলতি বছরের গত ৪ (মার্চ-এপ্রিল-মে-জুন) মাসে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন স্থানে যাত্রী চেকিংয়ে প্রায় ৩০ লাখ টাকার উপরে আয় হয়েছে।

সূত্র জানায়, বিনা টিকেটে ভ্রমন বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। বাড়ানো হয় চেকিং। এতে কাউন্টারগুলোতে টিকিট বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। 
পূর্বাঞ্চলের চীফ পার্সোনাল ম্যানেজান (সিসিএম) সরদার শাহদাত আলী বলেন, যাত্রী সেবার মান ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ট্রেন ও গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে ব্লক চেকিং অব্যাহত রয়েছে। এতে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি বিনা টিকিটের যাত্রী সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, স্টেশন বন্ধ থাকা, ঢাকামুখী ট্রেনে চাহিদা অনুযায়ী কোচ সংযোজন করতে না পারা, চালক (এলএম) ও গার্ড সংকট থাকার পরও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক দায়িত্ব পালনের কারণে আয় বাড়ানো সম্ভব হয়েছে।

শ্রমিক নেতা কামাল পারভেজ বাদল বলেন, রেল কর্মকর্তারা আরও সচেতন ও মনিটরিং বাড়ানো হলে রেলের আয় আরও বাড়ানো সম্ভব হবে।  তবে সরকারবিরোধী এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ রেল কর্মকর্তা মন্ত্রীসহ সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে বিভিন্ন তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক এমপির নিদের্শনা ও রেলওয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের মনিটরিংয়ের মাধ্যমে পূর্বাঞ্চলের চীফ পার্সোনাল ম্যানেজান (সিসিএম) সরদার শাহদাত আলীর নেতৃত্বে দুই বিভাগের কর্মকর্তারা বিভিন্নভাবে যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধির সাথে সাথে ট্রেনে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে ব্লক চেকিং শুরু করেন। এতে ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত এক বছরে বিনা টিকেটে ভ্রমন করায় ২ কোটি ৫১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৪ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মোট মামলা হয়েছে ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯৩টি। গত ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে চেকিং জরিমানা করা হয়েছে ২ কোটি ২৯ লাখ ১৩ হাজার ৪৮৩ টাকা। এতে চলতি বছরে ২২ লাখ ২০ হাজার ৩৮১ টাকা বেশি আয় হয়েছে। 


বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর