শিরোনাম
২৮ জুলাই, ২০১৬ ১২:৪০

নিলামে উঠছে সালমান এফ রহমানের বাড়ি

অনলাইন ডেস্ক

নিলামে উঠছে সালমান এফ রহমানের বাড়ি

নিলামে উঠছে ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানের ধানমণ্ডির বাড়ি। জিএমজি এয়ারলাইন্সের নামে সোনালী ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের টাকা পরিশোধ না করায় আগামী ৩ আগস্ট বাড়িটি নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।  এ বিষয়ে গত ১২ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিকে নিলাম বিজ্ঞপ্তি দেয় সোনালী ব্যাংক। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে চলতি বছরের ৩০ মে পর্যন্ত জিএমজির কাছে ব্যাংকের মোট পাওনা ২২৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আগামী ৩ আগস্ট ব্যাংকের লোকাল অফিস ৩৫-৪২ মতিঝিলে এ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের মহাব্যবস্থাপক ফনীন্দ্র ত্রিবেদী বলেন, নিলাম ডাকার আগে পাওনা আদায়ে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে চূড়ান্ত তাগাদা এবং উকিল নোটিশসহ যা যা করার সবই করা হয়েছে। কিন্তু তারা টাকা না দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত বন্ধকি সম্পত্তি নিলাম করে টাকা আদায়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে ঋণখেলাপি হয়েও আইন লংঘন করে সম্প্রতি বেসরকারি খাতের আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন সালমান এফ রহমান।

বিষয়টি নিয়ে ব্যাংকের নিলাম বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ব্যাংকের টাকা পরিশোধ না করায় জিএমজি এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, পিতা মরহুম ফজলুর রহমান, মাতা মরহুমা সৈয়দা ফাতিনা রহমানের বন্ধকি সম্পত্তি নিলামের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ধানমণ্ডির ২ নম্বর রোডের ১৭ নম্বর প্লটের (নতুন) ১ বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমি ও তার ওপরের ভবন এবং নির্মাণাদিসহ নিলামে তোলা হবে। আগামী ৩ আগস্ট বুধবার এ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। অর্থঋণ আদালত আইন-২০০৩ এর ১২ (৩)-এর বিধান অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জানা গেছে, ধানমণ্ডির এ ভবনটির সামনের বামপাশে বেক্সিমকো গ্রুপের কর্পোরেট অফিস, ডানপাশে বেক্সিমকোর নিজস্ব ব্র্যান্ডের পণ্য ইয়োলোর শোরুম এবং পেছনে সালমান এফ রহমানের আবাসিক বাড়ি। এদিকে ২০১৬ সালের ৩০ মে পর্যন্ত জিএমজি এয়ারলাইন্সের কাছে অনারোপিত সুদসহ ব্যাংকের পাওনা ২২৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা। সূত্র জানায়, ২০০৬ সালে এ ঋণ নেওয়া হয়। ওই সময়ে ঋণের পরিমাণ ছিল ১৬৫ কোটি টাকা। পরবর্তীকালে সুদ ও ঋণের স্থিতি বৃদ্ধি পায়।

এদিকে ঋণখেলাপি হলেও গত ১৪ জুলাই আইএফআইসি ব্যাংকের ৩৯তম বোর্ডসভায় তাকে চেয়ারম্যান পদে পুনর্নির্বাচিত করা হয়। কিন্তু ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১-এর (সংশোধিত ২০১৩) ১৫ ধারা ৬ উপধারার (ঊ) বলা হয়েছে, ''কোনো ব্যক্তি তাহার নিজের কিংবা স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে গৃহীত ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ বা খেলাপি হলে ব্যাংক-কোম্পানি কর্তৃক পরিচালক নিযুক্ত হওয়ার যোগ্য হইবেন না।''

এদিকে শুধু মুদ্রাবাজারে নয়, পুঁজিবাজারেও সংকট সৃষ্টি করেছে জিএমজি। আর্থিক প্রতিবেদন জালিয়াতি করে শেয়ারবাজার থেকে নেওয়া ৩০০ কোটি টাকা ৭ বছরেও ফেরত দেয়নি কোম্পানিটি। ২০০৯ সালে প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রি করে এই টাকা নেওয়া হয়। পরে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে কোম্পানিকে বাজারে তালিকাভুক্ত করেনি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পথে বসে। তারা আজও ফেরত পায়নি তাদের বিনিয়োগের টাকা। সূত্র: যুগান্তর।

বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর