১ আগস্ট, ২০১৬ ১৪:৩৯

স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাকে হত্যার দায়ে একজনের ফাঁসি

পিরোজপুর প্রতিনিধি :

স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাকে হত্যার দায়ে একজনের ফাঁসি

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে পল্লী চিকিৎসক আলমগীর হোসেনকে ফাঁসির দণ্ড ও একই সময় ৫০ হাজার টাকা অর্থ দণ্ডের আদেশ প্রদান করেছেন আদালত। আজ সোমাবার বেলা ১২টায় পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিল্লুর রহমান জনাকীর্ণ ও উভয়পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে ঘৃণ্যতম এ হত্যাকাণ্ডের আদেশ দেন। তবে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পল্লী চিকিৎসক আলমগীর হোসেন পলাতক আছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২২ জুন রাতে পরকীয়া প্রেমে বাধা দেয়ায়  মঠবাড়িয়া উপজেলার পাঠাকাটা গ্রামের আসামি আলমগীর হোসেন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার স্ত্রী হাফিজা বেগম (৩৫), পুত্র আশরাফুল (১১) ও কন্যা জামিলা (৩)-কে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

পরে এ ঘটনা অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য ঘাতক আলমগীর ওই দিন রাত ১১টায় তার শ্যালক আবুল বাসারকে ফোন করে জানান তাদের গ্রামে ডাকাত পড়েছে এবং ডাকাতরা স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাকে গলা কেটে হত্যা করেছে। আসামির ডাক চিৎকারে লোকজন এসে ঘরে মশারি উঠিয়ে দেখে খাটের উপর ৩টি গলাকাটা লাশ শোয়ানো আছে। ওইদিনই রাতেই নিহত হাফিজা বেগমের ভাই আবুল বাসার ঘটনাস্থলে এসে ঘটনা দেখে মঠবাড়িয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

পলাতক আসামিকে মঠবাড়িয়া থানার পুলিশ ২০০৮ সালের ২৪ জুন গ্রেফতার করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মাহবুবুর রহমান ২০০৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আলমগীরকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেন। এ মামলায় বাদী, ডাক্তার, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ মোট ২৬ জন সাক্ষ্য দেয়। 

 

বিডি-প্রতিদিন/ ০১ আগস্ট, ২০১৬/ আফরোজ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর