২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৭:৩৩

কে এই মাহতাব?

অনলাইন ডেস্ক

কে এই মাহতাব?

সোমবার সকালে রাজশাহী থেকে বাংলা ভাইয়ের সহযোগী মাহতাব খামারুকে আটক করেছে বাগমারা থানা পুলিশ। সাধারণ পরিচয়ে সে বাগমারা উপজেলার তালঘরিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী খামারুর ছেলে। কিন্তু এটাই তার একমাত্র পরিচয় নয়। তার এ পরিচয় ছাপিয়ে বাংলা ভাইয়ের হাত ধরে কুখ্যাত জঙ্গি হিসেবে সর্বপ্রথম আলোচনায় আসেন ২০০৪ সালে। নারকীয় নানা ঘটনায় নিজেকে জড়িয়ে আতঙ্কের নাম হয়ে ওঠেন মাহতাব খামারু।

গ্রেফতার হওয়ার আগে উইকিলিকসে প্রকাশ করা গোপন নথিতে তার নাম থাকায়ও দেশজুড়ে আলোচনা রয়েছে তাকে নিয়ে।

যেভাবে আলোচনায় মাহতাব:

রাজশাহীর বাগমারায় বাংলা ভাইয়ের হাত ধরে মাহতাব খামারুর উত্থান। তখন ওই এলাকাকে সন্ত্রাসমুক্ত করার নামে নারকীয় তাণ্ডব চালায় সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে জেএমবির সদস্যরা। ওইসময় প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষকে মেরে গাছের সঙ্গে টাঙিয়ে রাখার মতো ঘটনা ঘটে। মানুষকে হত্যা করে শত টুকরা করে পুঁতে রাথা হয় মাটির নিচে। আর সেই সব নারকীয় ঘটনার অন্যতম কুশীলব বাংলা ভাইয়ের অন্যতম প্রধান সহযোগী ছিলেন এই মাহতাব খামারু। রাজশাহী থেকে জেএমবি'র কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে সারা দেশে। একের পর এক বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে।
 
চাপের মুখে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন খামারু। বাইরে থেকেই জেএমবি'র কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন। দায়িত্ব পান সংগঠনের আঞ্চলিক কমান্ডারের। পরিকল্পনা করেন ১৭ আগষ্ট দেশব্যাপি সিরিজ বোমা হামলার। এই হামলার দ্বিতীয় পরিকল্পনাকারী হিসেবে মনে করা হয় তাকে।
 
জেএমবি'র কর্মকাণ্ডে দেশব্যাপী আতঙ্কের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। অবশেষে টনক নড়ে সরকারের। বাংলা ভাইসহ অন্যদেরকে ধরতে চালানো হয় চিরুনি অভিযান। ২০০৫ সালের ২৭ নভেম্বর খামারুকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরবর্তীতে 'রহস্যজনক' কারণে জামিনে মুক্তি পান বাংলা ভাইয়ের এই সেকেন্ড ইন কমান্ড। ২০১২ সালের ২৩ জুলাই আবারও আটক হন র‌্যাবের হাতে। এবারও আটকে রাখা যায়নি তাকে। আইনের ফাঁক গলিয়ে জামিন পান আদালত থেকে।
 
এরপর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন এই জেএমবি নেতা। সংগঠিত করছিলেন নেতাকর্মীদের। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না তার। সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার হামিরকুৎসা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
 
বাগমারার যুগিপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মীর্জা মাজহারুল ইসলাম জানান, মাহাতাব খামারু জেল থেকে বের হয়ে এসে এলাকায় গা-ঢাকা দিয়ে থাকতেন। তবে গোপনে জেএমবিকে সক্রিয় করে তোলার চেষ্টা করতেন।
 
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর