সর্বস্তরের জনগণের শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের মরদেহ বাংলা একাডেমি থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টা ৯ মিনিটে সৈয়দ হকের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে পৌঁছায়। এরপর বেলা ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ লেখকের কফিনে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
রাষ্ট্রপতির পর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাঁর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল কবির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন।পর সর্ব সাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত করা হয়।
এর আগে, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আই কার্যালয়ে প্রথম নামাজে জানাজার পর সৈয়দ হকের মরদেহ বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে নেওয়া হয়। সেখান থেকে মরহেদ নেওয়া হয় শহীদ মিনারে।
শামসুল হকের প্রথম নামাজে জানাজা
দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে লেখকের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তার মরদেহ হেলিকপ্টারে করে নিজ গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামে নেওয়া হবে। সেখানে কুড়িগ্রাম কলেজের পাশেই দাফন করা হবে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়া সর্বকনিষ্ঠ এই লেখককে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সৈয়দ শামসুল হক। ১৯৩৫ সালে কুড়িগ্রামে জন্ম নেওয়া সৈয়দ শামসুল হক কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, কাব্যনাট্যসহ সাহিত্যের সব শাখায় সাবলীল পদচারণার জন্য তাকে 'সব্যসাচী লেখক' বলা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/মাহবুব