৫ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০৯:৫৭

'চোখের সামনে বাবা-স্বামীকে হত্যার পর আমাকে গণধর্ষণ করা হয়'

অনলাইন ডেস্ক

'চোখের সামনে বাবা-স্বামীকে হত্যার পর আমাকে গণধর্ষণ করা হয়'

মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর নির্যাতনের ভয়ে পালিয়ে এসে ইতিমধ্যে অনেক রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এদেরই একজন মোহসিনা। পালিয়ে এলেও নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পাননি তিনি। তিনি বলেন, 'আমার চোখের সামনে বাবা-চাচা-স্বামীকে হত্যা করা হয়, এরপর আমাকে বনের ভেতরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়।'

বিবিসি বাংলার খবর, টেকনাফের শরণার্থীর থাকার জায়গা লেদা ক্যাম্পে মোহসিনা অবস্থান করছেন। মলিন পোশাক আর বিধ্বস্ত চেহারার মোহসিনা বর্ণনা দেন গত মাসের ১২ তারিখ ঠিক কি ঘটেছিল তার জীবনে।

মিয়ানমারের রাখাইনের জাম্বুনিয়া এলাকায় বাড়ি মোহসিনা জানান "সকাল বেলা হঠাৎ করেই একদল লোক অস্ত্র হাতে তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়ি ভাংচুর আর আগুন। বাড়ির পুরুষ, নারী শিশু সবাইকে আলাদা করে দাঁড় করানো হয়।"

মোহসিনা বলছিলেন "পুরুষদের আলাদা করে দাঁড় করায়, সেখানে আমার স্বামী, চাচা, আর বাবা ছিল। সাথে ছিল আরো ২৫ থেকে ২৭ জন ওই এলাকার পুরুষ। আর মেয়েদের বলা হয় আলাদা লাইনে দাঁড়াতে"।

এরপর তার চোখের সামনেই হত্যা করা হয় তার পরিবারের তিনজন পুরুষ সদস্যকে। এরপর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েদের মধ্যে যাদের বয়স অল্প তাদের কে ধরে নিয়ে বনের মধ্যে নিয়ে যায়। তাদের উপর চালানো হয় নির্যাতন, ধর্ষণ।

মোহসিনা বলছিলেন "আমাকেকে সাতজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে"। তিনি বলছিলেন, "এখন চোখের পানিও শুকিয়ে গেছে, কান্দনও আর আসে না"।

জ্ঞান হারান মোহসিনা। চেতনা ফিরে আসার পর পালিয়ে আসেন সেখান থেকে, কোলের শিশু আরকানের খোঁজে। বাড়ি ফিরে শুধু আরকানকে পান।

বিডি-প্রতিদিন/০৫ ডিসেম্বর, ২০১৬/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর