১৬ জানুয়ারি, ২০১৭ ১০:১৪

৭ খুন মামলায় ২৬ জনের ফাঁসির আদেশ

সাখাওয়াত কায়সার, রোমান চৌধুরী সুমন ও এমএ শাহীন নারায়ণগঞ্জ থেকে:

৭ খুন মামলায় ২৬ জনের ফাঁসির আদেশ

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন মামলায় প্রধান চার আসামি নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মুহাম্মদ, মেজর (অব.) আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার (অব.) মাসুদ রানাসহ ২৬ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। মামলার বাকি ৯ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এর আগে, আলোচিত এই মামলায় উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত বছর ৩০ নভেম্বর রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন আদালত।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১’র চাকরিচ্যুত সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মুহাম্মদ, মেজর (অব.) আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার (অব.) মাসুদ রানাকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। র‌্যাবে কর্মরত ছিলেন এমন আরও ১৩ জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- এসআই পূর্ণেন্দু বালা, হাবিলদার এমদাদুল হক, কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্সনায়েক হীরা মিয়া, বেলাল হোসেন, সৈনিক আবদুল আলীম, সিপাহী আবু তৈয়্যব, সিপাহী আসাদুজ্জামান নূর, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, সৈনিক আলামিন শরীফ, সৈনিক তাজুল ইসলাম ও সার্জেন্ট এনামুল কবির।

ফাঁসির আদেশ পাওয়া বাকিদের মধ্যে নূর হোসেনের ৯ সহযোগী ভারতে গ্রেফতারকৃত সেলিম, সানাউল্লাহ সানা, শাহজাহান, জামাল উদ্দিন, মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী ও আবুল বাশার।

বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড পাওয়া ৯ জনও র‌্যাবের বরখাস্তকৃত কর্মকর্তা ও সদস্য। তাদের মধ্যে কনস্টেবল হাবিবুর রহমানকে ১৭ বছর, এএসআই আবুল কালাম আজাদ, এএসআই কামাল হোসেন, কনস্টেবল বাবুল হাসান, কর্পোরাল মোখলেসুর রহমান, ল্যান্স কর্পোরাল রুহুল আমিন ও সিপাহী নুরুজ্জামান ১০ বছর এবং এএসআই বজলুর রহমান ও হাবিলদার নাসির উদ্দিনকে ৭ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। 

এদিকে, রায়ে সন্তুষ্ট হয়ে আদালত প্রাঙ্গনে আনন্দ মিছিল করে আইনজীবীরা। কারণ ওই ৭ জন নিহতের মধ্যে ছিলেন তাদের এক সহকর্মী প্রবীণ আইনজীবী চন্দন সরকার।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাসহ ৭ জনকে অপহরণ করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর ৬ জনের লাশ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। এর একদিন পর অপরজনের লাশও একই স্থানে পাওয়া যায়।

এ ঘটনার পর এককটি মামলার বাদী নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল এবং অপরটির বাদী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। মামলা দুটির চার্জশিটে ৩৫ জন অভিন্ন আসামি। তাদের মধ্যে ২৩ জন গ্রেফতার ও ১২ জন পলাতক আছেন।

বিডি-প্রতিদিন/১৬ জানুয়ারি, ২০১৭/মাহবুব

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর