গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ -১ আসনের সংসদ সদস্য নিহত মুঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকান্ডের ঘটনায় গ্রেফতার কর্ণেল (অবঃ) ডা. কাদের খানের বগুড়ায় গরীব শাহ ক্লিনিক কাম বাড়িতে দ্বিতীয়বার তল্লাসী চালিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত এ তল্লাসী চালানো হয়। এসময় দু’টি ল্যাপটপ এবং সিসি ক্যামেরার ডিভিআরসহ হার্ডডিক্স এবং কাদের খানের স্ত্রী ডাঃ নাসিমা বেগমসহ ক্লিনিক স্টাফদের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। বুধবার বগুড়ায় কাদের খানের বাসার সামনে পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।
গ্রেফতারকৃত কর্ণেল (অবঃ) ডা. কাদের খানের গরীব শাহ ক্লিনিক কাম বাড়ির প্রহরী ও ক্লিনিক স্টাফরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রাত ১২টায় গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার রেজিনুর রহমানসহ ৮/১০ জন ক্লিনিকে এসে তল্লাসী চালানোর কথা বলে। এ সময় স্যারের স্ত্রী ডা. নাসিমা বেগম তাকে তল্লাসী কাজে সহযোগিতা করেন। ক্লিনিক কাম বাসা চতুর্থ তলায় স্যারের বেডরুমসহ অন্য একটি রুমে তল্লাসী চালানো হয়। রাত সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এই তল্লাসী চলে। তল্লাসী শেষে ডা. নাসিমা বেগমের মোবাইল ফোনসহ ক্লিনিকের তিন স্টাফের মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এছাড়াও দু’টি ল্যাপটপ এবং সিসি ক্যামেরার ডিভিআর সহ হার্ডডিক্স নিয়ে যায়।
তারা দু’একদিনের মধ্যে মোবাইল ফোন ফিরে দেয়ার কথা বলেছে। তল্লাসী শেষে তারা স্যারের মাইক্রোবাসটিও নিয়ে যায়। এর আগে মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় বগুড়া শহরের রহমানগরস্থ বাড়ি থেকে ডা. কাদের খানকে গ্রেফতারের পর গাইবান্ধায় নিয়ে যাওয়া হয়।বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এমদাদ হোসেন জানান, রাতে বগুড়া শহরের রমাননগরস্থ ডাঃ কাদের খানের বাড়ি তল্লাশি চালিয়েছে গাইবান্ধা পুলিশ। তবে সেখান থেকে কি পাওয়া গেছে সেটা জানানো হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/হিমেল