২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ১২:০১

'বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী দল'

অনলাইন ডেস্ক

'বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী দল'

ফাইল ছবি

বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার এই আগুনবোমা নিক্ষেপকারী অপরাধীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনবে। শুক্রবার জয় তার ফেসবুকে লেখা স্টেটাসে এ কথা বলেছেন। 

সেখানে তিনি আরও লিখেছেন, যখনই কেউ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালায়, তখন সে সংগঠন রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে দাবি করার অধিকার হারায়- উভয়েই সন্ত্রাসী সংগঠন। কানাডিয়ান আদালতের রায় নিয়ে তিনি বলেছেন, আপনারা সবাই জানেন যে কানাডার একটি আদালত বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে অভিহিত করেছে।

তিনি লিখেছেন, ২০১৩-২০১৫ সালে বিএনপির আগুনবোমা সন্ত্রাসের সময় হাসপাতালের একটি বার্ন ইউনিট দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের দেখে আমি আঁতকে উঠেছি। এই ভয়াবহ দৃশ্য ছিল অকল্পনীয়। এই আগুনবোমা রাজনীতি হতে পারে না; এটা ছিল স্পষ্টই সন্ত্রাসবাদ। অতীতে রাজনৈতিক সহিংসতায় আমাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখেছি। সেটা পুলিশ কিংবা সরকারি দলের কর্মীদের সাথে আমাদের কর্মীদের প্রতিরোধের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র জামায়াত-বিএনপি এই দুই দলই বেসামরিক জনগণকে লক্ষ করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করল।

তিনি বলেন, প্রথমটি হলো জামায়াতে ইসলামী, এদের সাথে ছিল আল-বদর, আল-শামস, ইত্যাদি বেসামরিক সেনাবাহিনী, যারা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বেসামরিক নাগরিকদের নির্যাতন এবং হত্যা করেছিল। দ্বিতীয়টি হলো বিএনপি, যারা বিগত নির্বাচনের সময় বাস, ট্রেন ও গাড়িতে আগুনবোমা নিক্ষেপ করেছিল। এখানে কোনো সন্দেহই নেই যে, বিএনপি ও জামায়াত একে অপরের সঙ্গী।

স্টেটাসে জয় আরও লিখেছেন, যখনই কেউ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালায়, তখন সে সংগঠন রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে দাবি করার অধিকার হারায়- উভয়েই সন্ত্রাসী সংগঠন। যেভাবে আমরা ৪০ বছর পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় এনেছি, আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার এই আগুনবোমা নিক্ষেপকারী অপরাধীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনবে। যেসব বিএনপিকর্মী ও নেতারা এসব আক্রমণ করেছে; যারা এতে অর্থ বিনিয়োগ করেছে এবং যারা এসব হামলা অনুমোদন দিয়েছে, যতদিনই লাগুক না কেন শাস্তি তাদের পেতেই হবে।


বিডি প্রতিদিন/২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর