২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ২২:২৭

খালেদা জিয়ার সাজা হলেও বিএনপি নির্বাচনে আসবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

খালেদা জিয়ার সাজা হলেও বিএনপি নির্বাচনে আসবে

ফাইল ছবি

সরকার দলীয় সংসদ সদস্যরা বলেছেন, দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হলেও অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নিবে। একইসঙ্গে তারা মনে করেন কয়েকভাবে বিভক্ত হলেও নির্বাচনে আসবে। কিন্তু দেশের জনগণ সন্ত্রাসী দল, জঙ্গিদের দল ও মানুষকে পুড়িয়ে হত্যাকারী দল বিএনপিকে মেনে নেবে না। ব্যালটের মাধ্যমে আবারও প্রত্যাখ্যান করবে।

সংসদেও চতুর্দশ ও শীতকালীন অধিবেশনে আজ রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এসব মন্তব্য করেন। প্রথমে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও পরে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশ নেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, মীর শওকাত আলী বাদশা, সাবিনা নাহার বেগম, মনোয়ারা বেগম, বেগম আখতার জাহান ও বেগম রহিমা আখতার এবং ওয়ার্কার্স পার্টির ইয়াছিন আলী ও জাসদের মইন উদ্দীন খান বাদল।

কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকারের ৫ বছর ছিল চরম বিভীষিকায় অধ্যায়। এরপর নির্বাচন বানচাল করতে আন্দোলনের নামে খালেদা জিয়ার আগুন সন্ত্রাস জনগণ ব্যর্থ করে দিয়েছে। এখন দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার দুস্কর্মের বিচার চলছে। বিচারে খালেদা জিয়ার ভাগ্যে কি আছে? আমরা জানি না। তা আদালত নির্ধারণ করবে। তবে এটা নিশ্চিত খালেদা জিয়ার সাজা হলেই বিএনপি দুই-তিন ভাগে বিভক্ত হবে। তাদের সকল ভাগেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। তবে তারা জনগনের সমর্থন পাবে না বলে তিনি দাবি করেন। 

সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসী দল হিসেবে আগেও ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। বিএনপি ভাল করেই জানে নির্বাচনে না গেলে দলটির নিবন্ধন বাতিল হবে। অবশ্যই দলটি নির্বাচনে যাবে, সেভাবেই আমাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে হবে। আগামী নির্বাচনে আমরা পুনরায় বিজয়ী হতে পারলে বিএনপির অস্তিত্বই হারিয়ে যাবে। 

জাসদের মইন উদ্দীন খান বাদল বলেন, দেশের মানুষ সচেতন ও সক্রিয় হলে অসাংবিধানিক শাসনের সুযোগ থাকে না। তবে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস ও নাশকতার হোতাদের মুক্ত আকাশে ঘুরতে দেওয়া সুশাসন হতে পারে না। অপরাধ করবেন বিচার হবে না এটা চলতে পারে না। অবশ্যই এদের দমন করে দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, এখনও আমাদের আত্মতুষ্টিতে ভোগার সময় আসেনি। দেশ ধনাঢ্য হচ্ছে, কিন্তু দেশের ১০ ভাগ মানুষের কাছে ৪০ ভাগ সম্পদ চলে যাচ্ছে। এটা একটা বিপদজ্জনক পরিস্থিতি। অবশ্যই এ চিত্র পাল্টাতে হবে।

ওয়ার্কার্স পার্টির ইয়াছিন আলী বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে প্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। ধনী ও গরিব এবং গ্রাম ও শহরের মধ্যে সৃষ্ট বৈষম্য দূর করতে আরও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।


বিডি প্রতিদিন/২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর