২৪ মার্চ, ২০১৭ ১০:২৩

যানজটে স্থবির ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

যানজটে স্থবির ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

ফাইল ছবি

তীব্র যানজটে অচল হয়ে পড়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে যানজট শুরু হয়ে তা ছাড়িয়ে গেছে কুমিল্লার দাউদকান্দি। সড়কে যানবাহন যেন নড়ছেই না। সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে সোনারগাঁও পর্যন্ত আসতে চার-পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগে গেছে বলে জানিয়েছেন অনেক যাত্রী। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে বসে থেকে হাঁপিয়ে উঠেছেন যাত্রীরা। অনেকে গত রাত থেকেই যানজটে আটকা। এতে অসহনীয় ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন কাজে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষগুলো। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। শৌচাগার সমস্যায় অনেক শিশুকে রাস্তার পাশেই প্রাকৃতিক কর্ম সারতে দেখা গেছে।

এদিকে, মহাসড়কে হঠাৎ এমন যানজটের কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সমস্যা নিরসনে মহাসড়কে দেখা যায়নি ট্রাফিক পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। যাত্রীরা অনেকে গাড়ি থেকে নেমে বাইরে পায়চারি করে সময় পার করছেন। শেষ হয়ে গেছে রাস্তার পাশের ছোট খাবার দোকানগুলোর খাবারও। যা আছে তা বিক্রি হচ্ছে অতিরিক্ত দামে।

যানজটে আটকে পড়া কয়েকজন যাত্রী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে ফোন করে জানান, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে মেঘনা ব্রিজ পর্যন্ত কোনো গাড়ি নড়ছে না। আজমল নামের এক যাত্রী জানান, সকাল ৬টায় ঢাকা থেকে রওনা হয়ে সাড়ে ৪ ঘণ্টায়ও তিনি সোনারগাঁও পৌঁছতে পারেননি। কী কারণে এমন যানজট তা কেউ বলতে পারছে না। গাড়ির চালক-হেলপাররা গাড়ি রেখে কোথায় যেন চলে গেছে। রাস্তায় কোনো ট্রাফিক পুলিশও দেখা যাচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে আজ সারাদিনে চট্টগ্রাম পৌঁছতে পারবেন কি না সন্দেহ আছে।

এদিকে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে যানজটে আটকা এক ট্রাকচালক বলেন, তিনি এসেছেন রংপুর থেকে। গত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে তিনি ঢাকা থেকে রওনা করেছেন। এখন দাউদকান্দি বসা। কখন চট্টগ্রাম পৌঁছবেন জানেন না।

এদিকে কথা বলার টানা নির্ঘুম ট্রাক চালিয়ে আসা ওই চালকের চোখের পাতা তখন লাল টকটকে। কথা বলার সময়ই মাঝে মাঝে তার চোখ বন্ধ হয়ে আসছিল। এমন অবস্থায় ট্রাক চালাতে গেলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেন ওই ট্রাকের হেলপার। হাবিব নামের ওই হেলপার বলেন, ''ওস্তাদ গাড়ি ভাল চালায়। তয় আমার ডর লাগে। টানা দুইদিন ঘুমায়নাই। মাঝেমইধ্যে চা-টা খায়, পান চিবায়।''

বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর