সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আতিয়া মহল ও মৌলভীবাজারের দুই জঙ্গি আস্তানার সন্ধান একই সূত্রে পেয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বাহিনীর সদস্যরা। চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে পুলিশের সফল জঙ্গি বিরোধী অভিযানের পর সেখান থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই সন্ধান মিললো এই দুই আস্তানার।
২৪ মার্চ রাতে আলোচিত আতিয়া মহলের সন্ধান পাওয়ার আগে সিলেটে ৫ দিন ধরে কাজ করছে পুলিশ সদর দফতরের একটি টিম। নব্য জেএমবি নেতা মুসার স্ত্রীর খোঁজেই তারা ছিলেন সিলেটে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাত ৩ টায় দক্ষিণ সুরমা এলাকার পাঠানপাড়া শিববাড়ি এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়।
অভিযানিক দল খোঁজখবর নিতে গিয়ে জানতে পারে, সনাতন ধর্মবলম্বী বসতি আধিক্য শিববাড়ি এলাকার উস্তার মিয়ার মালিকানধীন ভাড়া বাসায় মুসলমান ভাড়াটিয়া। ‘আয়না মহলের’র মালিক উস্তার মিয়া অভিযানিক দলকে ভাড়াটিয়াদের ভোটার আইডি কার্ড বের করে দেখান। এক পর্যায়ে ‘মর্জিনা’ নামের ভুয়া আইডি নম্বরের কার্ডটি শনাক্ত করে বাসা ঘেরাও করে পুলিশ। গত শুক্রবার (২৪ মার্চ) ভোর থেকে বাড়িটি ঘেরাও করে চারপাশে অবস্থান নেয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, জঙ্গিরা ‘মর্জিনা’ কোড ব্যবহার করছে। আর স্বামী-স্ত্রী সেজে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করার নাম করে বাসা ভাড়া নেয়। কিছুদিন আগে চট্টগ্রামের জঙ্গিরাও ধরা পড়েছিলো জাতীয় পরিচয়পত্রের অসঙ্গতির জন্য। অসঙ্গতির জন্যই জঙ্গিরা প্রথম পুলিশের সন্দেহের শিকার হয়। এবার সিলেটেও একই রকম ঘটনা ঘটলো।
এদিকে বুধবার একই সূত্রে মৌলভীবাজারে সন্ধান মিলে দুই জঙ্গি আস্তানার। সিলেটের মতো সাথেই জঙ্গি আস্তানাগুলো ঘিরে রাখে পুলিশ। এখন বিকালে সেখানে সোয়াতের একটি টিম পৌঁছে। দুই জেলার আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময় দেওয়া তাদের বক্তব্যে এমন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
