২৪ এপ্রিল, ২০১৭ ১৩:৩৭

তুষার ধসের কবলে মৃদুলা ও তার দল, আহত চার শেরপা

শামছুল হক রাসেল

তুষার ধসের কবলে মৃদুলা ও তার দল, আহত চার শেরপা

এভারেস্টের পথে প্রবল তুষার ধসের কবলে পড়েছে মৃদুলা ও তার সহ-অভিযাত্রীরা। সোমবার সকাল থেকেই তুষার ধসের পাশাপাশি তীব্র ঝড়ো হাওয়া বইছে বেসক্যাম্প এবং কুম্ভু এলাকায়। তুষার ধসের ঘটনায় মারাত্মক আহত চার শেরপা। বেসক্যাস্প থেকে ওয়্যারলেস ফোনে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন দলের একমাত্র বাংলাদেশ অভিযাত্রী মৃদুলা। তিনি বলেন, কুম্ভু এলাকায় কিছুক্ষণ পর পর তুষার ধসের মতো ঘটনা ঘটছে। চার শেরপার মধ্যে অ্যাঙ্ক ফুরবা এবং নিগমা নূরুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধারকারী দল এই দুইজনকে হেলিকপ্টারে করে কাঠমান্ডু হাসপাতালে নিয়ে গেছে। আপাতত বাকিরা বেসক্যাম্পে অবস্থান করছে।  

গত ১৫ এপ্রিল শনিবার বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায় হিমালয়ের বহু কাঙ্ক্ষিত বেসক্যাম্পে পৌঁছান তিনি। ভূমি থেকে ৫ হাজার ৩৬৪ মিটার, অর্থাৎ ১৭ হাজার ৫৯৮ ফুট ওপরে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের এই তরুণী। এরই মাঝে দলের অন্যানদের সঙ্গে পরবর্তী ডেস্টিনেশন দিকে রওনা দিলেও বারবার ফিরে আসতে হচ্ছে বেসক্যাস্পে। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এভারেস্টের চূড়ায় আরো একবার উড়তে পারে বাংলাদেশের পতাকা। অর্থাৎ নিশাত মজুমদার এবং ওয়াসফিয়া নাজরীনের পর এবার হিমালয়ের রানী হতে যাচ্ছেন মেডিকেল ছাত্রী এই মৃদুলা। এরই মাঝে জাপান-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে নির্মিতব্য একটি প্রামাণ্যচিত্রের শুটিং হয়েছে বেসক্যাম্পে। 

বেসক্যাম্পে পৌঁছানোর সময় থেকেই ভীষণ ঠাণ্ডা ও তীব্র বাতাসের সঙ্গে লড়াই হচ্ছে তাদের। এছাড়া ১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার বেসক্যাম্পে ব্ল্যাক ডে পালন করেন মৃদুলা। ২০১৪ সালের এই দিনে এভারেস্টে তুষারধসে ১৮ জন শেরপা প্রাণ হারান। নিখোঁজ হন আরও বেশ কয়েকজন। 

ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মৃদুলা আমাতুন নূর। জন্ম ঢাকায় হলেও শেকড় ফেনীর পরশুরাম উপজেলার গুথুমা গ্রামে। বাবা আবু হেনা ও মা ফরিদা আক্তারের এক ছেলে এক মেয়ের মধ্যে মৃদুলাই বড়। বাবা-মা অবশ্য শুরুতে মেয়ের এই ডান পিটেপনা আবদার মেনে নিতে পারেননি। কিন্তু মেয়ের আগ্রহ আর অদম্য বাসনার কাছে হার মেনেছেন শেষ পর্যন্ত। এখন তারাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন মেয়ের চূড়ান্ত সাফল্যের খবরে।  

বিডি প্রতিদিন/২৩ এপ্রিল ২০১৭/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর