চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানা থেকে নারী ও এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে ১৫ মিনিটের ব্যবধানে তাদের উদ্ধার করা হয়।
এর আগে বিকেলে আস্তানার প্রধান ফটকে পাওয়া একটি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্রিফিং করে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন সহকারী পুলিশ সুপার মাইনুল ইসলাম।
ধারণা করা হচ্ছে- আহত নারী জঙ্গি রফিকুল ইসলাম আবুর স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন এবং তার মেয়ে সাইদা। আহত সুমাইয়া খাতুনকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এর আগে সকাল ৯টা ১০ মিনিটে দ্বিতীয় দিনের অভিযান অপারেশন 'ঈগল হার্ট' শুরু হয়। অভিযান শুরুর পরপরই মুহুর্মুহু গুলির শব্দ পাওয়া যায়। বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে অপারেশন ঈগল হার্ট নাম দিয়ে অভিযান শুরু হয় এবং রাত ৯টার দিকে অভিযান স্থগিত ঘোষণা করেন সোয়াতের উপ-পুলিশ কমিশনার প্রলয় কুমার জোয়ারদার।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, শিবগনগর এলাকায় বুধবার ভোরে সাইদুর রহমান জেন্টু হাজীর বাড়ি ঘেরাও করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা। এরপর বুধবার সকাল ৬টার দিকে ওই বাড়ি থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। বেলা ১২টা পর্যন্ত গুলির শব্দ পাওয়া যায়। পরে সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় আনুষ্ঠানিক অভিযান শুরু হয় এবং রাত ৯টায় অভিযান স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান শুরুর পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সোয়াতের উপ-পুলিশ কমিশনার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নিসারুল আরিফ, জেলা পুলিশ সুপার টিএম মোজাম্মেল হক ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
বিকেল সোয়া ৫টার দিকেও ব্যাপক গুলির শব্দ এবং তিনটি গ্রেনেড বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। অভিযান এখনো চলেছে। গণমাধ্যম কর্মীদের ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে থাকতে বলা হয়েছে। অপারেশন ঈগল হান্ট সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/২৭ এপ্রিল ২০১৭/আরাফাত