২৮ এপ্রিল, ২০১৭ ১৬:২৪

অপেক্ষায় ক্ষতিগ্রস্তরা : সুনামগঞ্জে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছায়নি এখনও

সিলেট ব্যুরো অফিস

অপেক্ষায় ক্ষতিগ্রস্তরা : সুনামগঞ্জে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছায়নি এখনও

সুনামগঞ্জে হাহাকার চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারগুলোতে এখনও কোনো প্রকার ত্রাণসামগ্রী পৌঁছায়নি। হাওরের চারপাশ এখন পানিতে থৈ থৈ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ঘরে নেই কোনো খাবার কিংবা বিশুদ্ধ পানি। জীবন বাঁচানোর একমাত্র হাতিয়ার বোরো ধান হারিয়ে জেলার দ্বীপ সাদৃশ্য ছোট ছোট গ্রামগুলোতে বসবাসকারী কৃষক পরিবারগুলোর মাঝে এখন বুকভরা দ্বীর্ঘশ্বাস।

জেলার তাহিরপুর, জগন্নাথপুর, দিরাই, শাল্লা, বিশ্বম্ভরপুর, ধর্মপাশা, মধ্যনগরসহ প্রতিটি উপজেলার হাওরগুলোতে ৯০ ভাগ বোরো ধান পানিতে ডুবে যাওয়ায় হাজার হাজার কৃষক এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসেনি কেউই।

জেলায় ডিলারদের মাধ্যমে যে ওএমএস চাল দেওয়া হচ্ছে তাও প্রয়োজনের তুলনায় কম। সকাল থেকে সারাদিন লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও চাল পাচ্ছে না দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষ। প্রতিটি উপজেলা সদরে তিনজন ডিলার দিয়ে প্রতিদিন এক টন করে তিন টন চাল দেওয়া হয়। সারাদিন অপেক্ষা করে অনেকেই খালি হাতে বাড়ি ফিরছে। 

আবহাওয়া দূর্যোগপূর্ণ থাকায় হাওর পাড়ের  কৃষক পরিবারগুলো জেলা ও উপজেলা সদরে এবং কাছাকাছি বাজারে যেতেও পারছে না। হাওর পাড়ের বেশিরভাগ পরিবারেই এখন হাতে নেই নগদ টাকা বা চাল। 

হাওরডুবির পরেও সরকারিভাবে কোনো সহায়তা না পাওয়ায় হাওর পাড়ের কৃষক পরিবারগুলোর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে, জেলা ও উপজেলার বাজারসহ প্রতিটি বাজারেই চালের দোকানগুলোতে চাল নেই। অনেকেই কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বেশি দামে চাল বিক্রি করছেন।

তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল জানান, ‘ক্ষতিগ্রস্থ হাওরবাসীর জন্য দ্রুত ত্রাণসামগ্রী পাঠানো প্রয়োজন। ওএমএস চালের পরিমাণ আরও বাড়ানো উচিত।   

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ১৫ টাকা কেজির ৪৫টি ওএমএস কেন্দ্র চালু আছে। আমরা কেন্দ্র দ্বিগুণ করার জন্য প্রস্তাব করেছি। আটা কম চলে তাই চালের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি। 


বিডি প্রতিদিন/২৮ এপ্রিল, ২০১৭/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর