২৩ মে, ২০১৭ ১৮:১৮

রমজান উপলক্ষে আমদানি বেড়েছে পেঁয়াজের

অনলাইন ডেস্ক

রমজান উপলক্ষে আমদানি বেড়েছে পেঁয়াজের

ফাইল ছবি

রমজান এলেই পেঁয়াজের ঝাঁজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে দামও। তবে রমজান উপলক্ষে এবার পর্যাপ্ত দেশী পেঁয়াজের মজুদ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে পেঁয়াজের আমদানিও। বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে রোজায় পেঁয়াজের দাম বাড়বে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে অতীত অভিজ্ঞতা বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল থাকবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চিত বাজার বিশ্লেষকরা।

জানা গেছে, বিভিন্ন ধরনের ইফতারসামগ্রী তৈরি ছাড়াও ভোক্তা পর্যায়ে চলতি বছর রমজানে শুধুমাত্র ঢাকা মহানগরীতেই প্রতিদিন ৬০০ টনের বেশি পেঁয়াজের চাহিদা থাকবে। যা মেটানোর লক্ষ্যে এর মধ্যেই আমদানি করা হয়েছে প্রায় ছয় হাজার টন পেঁয়াজ। প্রতি টন ১৮০ ডলার হিসেবে এলসি খোলা হয়েছে আরও ৩২ হাজার টন পেঁয়াজের। ভারতের নাসিক, পাটনা, নাগপুর, ইন্দ্রো, উত্তর প্রদেশ ও গুজরাট থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আসছে পেঁয়াজ। 

হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমান জানান, ‘গত সাত দিনে ৭ হাজার ২৭৫ মেট্রিক টন পেয়াজ ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। আমদানিকৃত এই পণ্যগুলো যতো দ্রুত সম্ভব আমরা ছাড় দেয়ার চেষ্টা করি।’

২৫ লাখ টন বার্ষিক চাহিদার বিপরীতে বাংলাদেশে উৎপাদিত হয় ১৫ লাখ টন পেঁয়াজ, বাকি ১০ লাখ টন আমদানি করা হয়। 

শ্যামবাজারের আড়ত মালিক সহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অজুহাত দেখানো মতো কিছু এবার নেই। এখন দিনে ২০০ টন বিক্রি হয়। রোজার মধ্যে ৬০০ টন বিক্রি হবে। এই ক্ষেত্রে হয়তো ২৫ টাকার পণ্য ২৮ টাকা হতে পারে। এটা স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক কিছু হবে না।’

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকারী উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ বিশ্লেষকদের।  তাদের মত, টিসিবিকে আরও বেশি সক্রিয় হতে হবে। তাদের নজরদারী বাড়াতে হবে এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বাজারে পর্যাপ্ত করতে হবে। যাতে ইচ্ছে করলেই ব্যবসায়ীরা দামটা বাড়াতে না পারে।’

বিডি প্রতিদিন/ ২৩ মে ২০১৭/ ই জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর