৩০ মে, ২০১৭ ০১:৩৬

দেশে মুসলমানের সংখ্যা কমেছে ০.৪ শতাংশ

অনলাইন ডেস্ক

দেশে মুসলমানের সংখ্যা কমেছে ০.৪ শতাংশ

সংগৃহীত ছবি

গত পাঁচ বছরে (২০১২-২০১৬) দেশে মুসলমানের সংখ্যা কমেছে ০.৪ ভাগ। আজ সোমবার বিকেলে শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি অডিটোরিয়ামে পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক রিপোর্ট প্রকাশ করে এই তথ্য জানানো হয়।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. আমীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য বিভাগের সচিব কে এম মোজাম্মেল হক। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য তুলে ধরেন যুগ্ম পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক এ কে এম আশরাফুল হক।

ব্যুরোর হিসেবে ২০১২ সালে দেশে মুসলমানের সংখ্যা ছিল ৮৮.৮ শতাংশ। যা ২০১৬ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ৮৮.৪ শতাংশে। যেখানে ২০১২ সালে অন্য ধর্মের হার ছিল ১১.২ শতাংশ, এটা ২০১৬ সালে দাঁড়িয়েছে ১১.৬ শতাংশে।

বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, দেশে জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার। তবে পুরুষ ও মহিলার সংখ্যা প্রায় সমান। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারির সবশেষ হিসেব অনুযায়ী দেশে এখন মোট পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ১০ লাখ এবং মহিলার সংখ্যা ৮ কোটি সাড়ে ৭ লাখ জন।  

বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, ২০১২ সালে দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৫ কোটি ২৭ লাখ। ২০১৬ সালের ১ জুলাইতে এই জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ কোটি ৮ লাখে। আর গত ছয় মাসে মোট জনসংখ্যা বেড়েছে সাড়ে ৯ লাখ।

দেশে পরিবার প্রতি সদস্য সংখ্যাও কমেছে বলে জানানো হয়েছে ওই জরিপে। জরিপ অনুযায়ী, গড় খানার সদস্যও কমেছে। ২০১২ সালে যেখানে গড় খানার সদস্য ছিলেন সাড়ে ৪ জন। সেখানে ২০১৬ সালে তা নেমে দাঁড়িয়েছে ৪.৩ জনে। পাশাপাশি কমেছে নির্ভরতার অনুপাত (ডিপেনডেন্সি রেট)। ২০০২ সালে নির্ভরতার হার ছিল ৮০ শতাংশ, ২০১৬ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৪ শতাংশে। তবে গত পাঁচ বছরে তা প্রায় স্থিতিতে রয়েছে।

গত পাঁচ বছরে লিঙ্গানুপাত কমেছে। নারী-পুরুষের লিঙ্গানুপাত ২০১২ সালে যেখানে ১০৪.৯ ছিল, তা ২০১৬ সালে ১০০.৩ অনুপাতে দাঁড়ায়। উচ্চ প্রজনন হারের এটাও একটা কারণ।


বিডি প্রতিদিন/৩০ মে ২০১৭/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর